জানা যাচ্ছে, ঘটক সিং সর্দার নামে ওই গ্রামের এক যুবক লাঠি নিয়ে গ্রামেরই বাসিন্দা হাঁড়িরাম সিং সর্দার ও তাঁর স্ত্রীয়ের উপর চড়াও হন। বাড়ির সামনে এসে তাঁদের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ ওই দম্পতি। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই যুবক। হাঁড়িরাম সিং সর্দারের ছেলে বাড়ি ফিরে দেখতে পান তাঁর মা-বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি বলরামপুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জয়নগরের স্কুল থেকে চুরি করে পালাচ্ছিলেন শিক্ষক! হাতেনাতে ধরল পুলিশ, উদ্ধার প্রচুর বই-জরুরি কাগজ
গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে বলরামপুর বাঁশগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা হাঁড়িরাম সিং সর্দারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী বিন্দেশ্বরী সিং সর্দারকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন বিন্দেশ্বরীদেবীর মৃত্যু হয়। বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে ওই দম্পতির ছেলে মঙ্গল সিং সর্দার বলেন, মা জল আনতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ অভিযুক্ত ঘটক সিং সর্দার তাঁর উপর চড়াও হন। বাবা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযুক্ত যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই কেন সে তাঁর বাবা-মাকে মারধর করল সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃত দম্পতির এক আত্মীয় অনিল সিং সর্দার জানান, তিনি এসে দেখেন হাঁড়িরাম সিং সর্দার ও বিন্দেশ্বরী সিং সর্দারকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। লাঠি দিয়েই তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযুক্ত ঘটক সিং সর্দারকে গ্রেফতার করেছে বলরামপুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।





