পেশায় বিমাকর্মী রূপক চক্রবর্তী বলেন, “মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়, এই উপলব্ধি আমার হয়েছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে। একটি অঙ্গের বিকলতার কারণে কত মানুষ যে অকালে প্রাণ হারান, তা খুব কাছ থেকে দেখেছি। যদি কেউ মরণোত্তর অঙ্গদান করেন, তাহলে তার সেই অঙ্গ অন্য কারও নতুন জীবন দান করতে পারে। আরও মানুষকে এই উদ্যোগে উৎসাহিত করতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
advertisement
রূপক চক্রবর্তী ও রুমা মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী
অন্যদিকে রূপকবাবুর স্ত্রী, পেশায় শিক্ষিকা রুমা মুখোপাধ্যায় চক্রবর্তী জানান, “আমরা দু’জনই চাই মৃত্যুর পরেও অন্যের জীবনে বেঁচে থাকতে। প্রতি বছর হাসপাতালে গিয়ে দেখতাম, কেবল অঙ্গের অভাবে কত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমাদের মরণোত্তর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত। নতুন প্রজন্মও যাতে এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে, সেটাই আমাদের আশা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমাজ সচেতন দম্পতি রূপক ও রুমার এই মানবিক সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সমাজে নতুন চিন্তাভাবনার জন্ম দেবে এবং আরও বহু মানুষকে অঙ্গদানের মতো মহৎ কাজে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।





