দুর্গা, মহিষাসুর, কার্তিক, গণেশ, কথাকলি, কৃষ্ণ, সমস্ত মুখোশ দেখতে পাওয়া যায় তার দোকানে। রীতিমতো তার হস্তশিল্প নজর কেড়েছে সমস্ত মহলে। মাত্র ১৫ বছর বয়স থেকেই তিনি মুখোশ তৈরি করছেন। ২০১৩ সালে তিনি সিভিকের ডিউটি জয়েন করেন। প্রায় ১২ বছর ধরে পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন তবুও তার শিল্পী সত্ত্বাকে তিনি বিসর্জন দেননি। মর্নিং ডিউটি থাকলে বিকালের পর আর নাইট থাকলে সারাদিন ধরে তিনি মুখোশ গড়েন। সিভিকের ডিউটির ফাঁকে তার হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি রঙবাহারি মুখোশ চোখ টানছে পর্যটকদেরও।
advertisement
এ বিষয়ে মুখোশ শিল্পী তথা সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধর বলেন, বংশ পরম্পরায় তাদের এই মুখোশ শিল্প। তিনি ছোটবেলা থেকেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। সিভিকের ডিউটি সামলানোর পাশাপাশি যতটুকু সময় থাকে সেই সময়টুকু তিনি মুখোশ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। প্রতি মাসে ভাল পরিমাণে মুখোশ বিক্রি হয় তার। তিনি চান পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যাতে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এ বিষয়ে চড়িদা গ্রামের এক বাসিন্দা প্রশান্ত দত্ত বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই ললিত বাবুকে দেখছেন। যেভাবে সে সিভিকের গুরুদায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি মুখোশ শিল্পকে বজায় রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে খুবই গর্বিত তিনি। তিনি চান আগামী দিনে আরও উন্নতি করুক ললিত বাবু। তাদের গ্রামের গর্ব তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সিভিক ভলান্টিয়ার ললিত সূত্রধরের তৈরি মুখোশ শুধু গৃহস্থে সাজানো নয়। বিভিন্ন অতিথি আবাস এবং সরকারি দফতরেও জ্বলজ্বল করছে। বছরে প্রায় তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি মুখোশ বিক্রি করেন তিনি। আগামী দিনে এই ভাবেই সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের শিল্পী সত্ত্বাকে রাখতে চান ললিতবাবু।





