এই সম্মানে তারা খুবই খুশি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা নিজেদের জীবন সংগ্রাম, ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, বাজারে মুখোশের চাহিদা ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছৌ মুখোশের নকশা পরিবর্তনের দিকেও তারা চিন্তাভাবনা করছেন। এলাকার মহিলাদের আধুনিক ব্যবসায়িক দক্ষতা বাড়ানো ও ডিজিটাল জ্ঞান অর্জনের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে ওই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। অনলাইন মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার, ডিজিটাল পেমেন্ট, ই-কমার্স প্লাটফর্মে পণ্য বিক্রি এই সমস্ত বিষয় ধাপে, ধাপে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন : অপরাধীদের কপালে দুর্গতি, ৫০ লক্ষ টাকায় পুলিশের হাতে এল ‘মোক্ষম’ জিনিস! হাওড়ায় বসছে হাইটেক ক্যামেরা
এই ডিজিটাল সহায়তার ফলে চড়িদার শিল্পীরা আগামীদিনেই আরও বড় বাজার পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মহিলা ছৌ মুখোশ শিল্পীরা বলেন, তাদের হস্তশিল্পের প্রসার ঘটছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে কিভাবে নিজেদের তৈরি মুখোশ সকলের কাছে পৌঁছে যাবে, তার জন্য তারা প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। এতে তাদের অনেকটাই উপকার হচ্ছে। আগামী দিনে এলাকার অন্যান্য মহিলারাও যাতে এই ভাবে সাবলম্বী হতে পারেন, সেই বার্তাই দিচ্ছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে ওই ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মুকেশ দাস বলেন, যে সমস্ত মহিলারা মুখোশ তৈরির কাজ করছেন, তাদের কাজকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায়, কীভাবে তাদের কাজ ডিজিটালি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে তাদের সংস্থা সমস্ত দিক থেকে সহযোগিতা করছে। তাদের মূল লক্ষ্যই হল সমস্ত দিক থেকেই মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ প্রশস্ত করে দেওয়া। পুরুলিয়ার চড়িদা গ্রামে তৈরি হওয়া মুখোশ শুধু পুরুলিয়ার ঐতিহ্য নয়, এটি তাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মধ্যে দিয়ে এই মুখোশের যাতে আরও বেশি করে প্রসার ঘটে, সেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছেন মুখোশ শিল্পীরা।





