পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ এখন এই মাজরামুড়া গ্রামে এসে তাদের হাতের তৈরি নিখুঁত পটচিত্রগুলো পছন্দ করে কিনে নিয়ে যান। তবে রাজ্যে পালাবদলের আগে এই অখ্যাত গ্রামকে চিনত না কেউই। ফলে তাদের পট ছিল অবহেলিত। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে পটের গান গেয়ে কোনওভাবে সংসার চালাতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেই ছবিটা আর নেই। এক সময় যে মাজরামুড়া গ্রামে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পৌঁছে ছিল না সেই গ্রাম আজ অনেকটাই উন্নত। থাকার বাসস্থান বলতে একসময় যাদের ছিল না কিছুই, তারা আজ পাকা বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অবাক কান্ড…! জল পরিষেবার পাইপলাইন বসতেই এলাকাবাসীর জীবনে অন্ধকার! কেন ঘটল এমনটা
পুরুলিয়ার ওইসব মানুষদের জন্য রাজ্য সরকার গ্রামে পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়ে পৃথক কলোনি তৈরি করে দিয়েছে। যে কলোনির নাম দেওয়া হয়েছে আদর্শ গ্রাম। আর্থ সামাজিক অবস্থার হাল ফেরাতে একাধিক চিত্রকরকে সচিত্র পরিচয়পত্র দিয়ে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের হাতের তৈরি জিনিস যাতে রাজ্যের বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করা যায় সেই ব্যবস্থাও করেছে সরকার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাশীপুর বিধানসভার তৎকালীন বিধায়ক স্বপন কুমার বেলথরিয়ার দীর্ঘ প্রচেষ্টায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে শুরু করে পানীয় জল, বৈদ্যুতিক আলো সমস্ত কিছুই আজ পৌঁছেছে। গ্রামের গর্ভবতী মায়েদের ও শিশুদের জন্য গ্রামে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। উন্নয়নের ছোঁয়ায় সার্বিকভাবে এখন জীবন অনেকটাই পাল্টেছে তাদের।
শান্তনু দাস