TRENDING:

ছিল না কানাকড়ি, আচমকা বদলে গেল জীবন...! ৬৫ চিত্রকর পরিবারের ভাগ্য বদলাল কোন পথে জানেন

Last Updated:

পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মাজরামুড়া। প্রায় ৬৫ টি চিত্রকর পরিবার নিয়ে এই গ্রাম গড়ে উঠেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পুরুলিয়া: পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মাজরামুড়া। প্রায় ৬৫ টি চিত্রকর পরিবার নিয়ে এই গ্রাম গড়ে উঠেছে। যাদের উপার্জনের একমাত্র পথ বাড়ি-বাড়ি ঘুরে পটের গান গেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করা। এছাড়াও নিজেদের হাতে নিখুঁত পটচিত্র তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করা। কয়েক বংশ ধরে এই শিল্পকেই তারা আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন। পটচিত্রে বিভিন্ন পৌরাণিক ও সামাজিক কাহিনী ফুটিয়ে তোলেন তারা। অভাব তাদের চিত্রকলাকে হার মানাতে পারেনি। নতুন নতুন পটচিত্র তাদের ভাবনায় বাস্তবায়িত হয় প্রতিনিয়ত।
advertisement

পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষ এখন এই মাজরামুড়া গ্রামে এসে তাদের হাতের তৈরি নিখুঁত পটচিত্রগুলো পছন্দ করে কিনে নিয়ে যান। তবে রাজ্যে পালাবদলের আগে এই অখ্যাত গ্রামকে চিনত না কেউই। ফলে তাদের পট ছিল অবহেলিত। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে পটের গান গেয়ে কোনওভাবে সংসার চালাতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেই ছবিটা আর নেই। এক সময় যে মাজরামুড়া গ্রামে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পৌঁছে ছিল না সেই গ্রাম আজ অনেকটাই উন্নত। থাকার বাসস্থান বলতে একসময় যাদের ছিল না কিছুই, তারা আজ পাকা বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করছেন।

advertisement

আরও পড়ুন: অবাক কান্ড…! জল পরিষেবার পাইপলাইন বসতেই এলাকাবাসীর জীবনে অন্ধকার! কেন ঘটল এমনটা

View More

পুরুলিয়ার ওইসব মানুষদের জন্য রাজ্য সরকার গ্রামে পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়ে পৃথক কলোনি তৈরি করে দিয়েছে। যে কলোনির নাম দেওয়া হয়েছে আদর্শ গ্রাম। আর্থ সামাজিক অবস্থার হাল ফেরাতে একাধিক চিত্রকরকে সচিত্র পরিচয়পত্র দিয়ে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের হাতের তৈরি জিনিস যাতে রাজ্যের বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করা যায় সেই ব্যবস্থাও করেছে সরকার।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাশীপুর বিধানসভার তৎকালীন বিধায়ক স্বপন কুমার বেলথরিয়ার দীর্ঘ প্রচেষ্টায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে শুরু করে পানীয় জল, বৈদ্যুতিক আলো সমস্ত কিছুই আজ পৌঁছেছে। গ্রামের গর্ভবতী মায়েদের ও শিশুদের জন্য গ্রামে তৈরি করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। উন্নয়নের ছোঁয়ায় সার্বিকভাবে এখন জীবন অনেকটাই পাল্টেছে তাদের।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদীর জলে ভেসে গেল গণ্ডার, প্রাণ বাঁচাতে যা করল..! হু হু করে ভাইরাল ভিডিও
আরও দেখুন

শান্তনু দাস

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ছিল না কানাকড়ি, আচমকা বদলে গেল জীবন...! ৬৫ চিত্রকর পরিবারের ভাগ্য বদলাল কোন পথে জানেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল