পড়াশোনার চাপ থাকলেও গান ছাড়েনি কখনও। বরং পড়াশোনার ফাঁকেই চলে রেওয়াজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের বাগমারি বাসিন্দা মোনালি রায়। টিকরাপাড়া অম্বিকাময়ী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। এলাকায় তার নাম এখন পরিচিত। কোনও অনুষ্ঠান মানেই আগে মোনালির নাম আসে এলাকায়। স্কুল, ক্লাব বা সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রথম ডাক পড়ে তারই। মঞ্চে উঠলেই সে এক অন্য মানুষ। আত্মবিশ্বাসে ভর করে গেয়ে যায় একের পর এক গান। হিন্দি হোক বা বাংলা, আধুনিক হোক বা ক্লাসিক্যাল, সবেতেই সাবলীল। শ্রোতাদের হাততালি থামতে চায় না। জেলার বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছে সে।
advertisement
আরও পড়ুন: না আছে এসি, না আছে দালান! ভাড়া নেওয়া মাটির বাড়িতে চলছে পোস্ট অফিস, ৫’জির যুগেও ভরসা এই জায়গা
বয়স কম হলেও তার মঞ্চ সামলানোর দক্ষতা চোখে পড়ার মত। অনেকেই বলেন, ভবিষ্যতে বড় শিল্পী হওয়ার সব গুণই আছে তার মধ্যে। শুধু স্থানীয় মঞ্চেই নয়, বাংলার একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোতেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছে মোনালি। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সমস্ত প্রতিযোগীর মাঝে নিজেকে প্রমাণ করেছে সে। বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে তার গানের গলা। টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠেছে পটাশপুরের এই কিশোরী শিল্পীর নাম। এলাকার মানুষের গর্ব আরও বেড়েছে। ছোট গ্রাম থেকে উঠে এসে বড় মঞ্চ কাঁপানa সহজ কথা নয়। কিন্তু মোনালি সেটা করে দেখিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখাতেও আগ্রহী মোনালি। নিজের লেখা গানে নিজেই সুর দেয় সে। ভাবনা আর সুরের মেলবন্ধনে তৈরি হয় নতুন গান। বয়সটা অল্প। সবেমাত্র একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তবু স্বপ্ন দেখে অনেক বড়। দুচোখে তারার মত অসংখ্য স্বপ্ন। পড়াশোনা আর সংগীত, দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে চলেছে মোনালি। ভবিষ্যতে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতে চায় মোনালি। তবু সাফল্যের ঝুড়ি এখনও পূর্ণ নয়। সামনে আরও অনেক পথ। আর সেই পথেই সুরের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে পটাশপুরের মোনালি রায়।





