বোলতা, ভিমরুল, মৌমাছির আক্রমণে আহত হচ্ছেন শিউলিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া, মহিষাদল তমলুক-সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিমরুলের কামড়ের জেরে হাসপাতালে ভর্তি দশজনেরও বেশি শিউলিরা। তাই এবার শিউলিদের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন।
advertisement
ব্লক প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ নলেন গুড় তৈরিতে। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে খেজুর গুড় তৈরি করেন মূলত পরিযায়ী মানুষজন। জেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে দুই থেকে তিন মাসের জন্য বাসা বাঁধে। যে এলাকায় বাসা বাঁধে সেই এলাকার আশেপাশের খেজুর গাছগুলিতে খেজুর রস সংগ্রহ করেন। আর খেজুর গুড় তৈরি করতে পরিবারের লোকজন সাহায্য করে। কিন্তু এবছর খেজুর রস সংগ্রহ করতে গিয়ে বোলতা, ভিমরুলের আক্রমণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
রস সংগ্রহ করতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভিমরুল ও বোলতা। এই পরিস্থিতিতে শিউলি এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে এল পঞ্চায়েত প্রশাসন। পঞ্চায়েত প্রশাসন থেকে এলাকায় শিউলিদের ভিমরুল ও বোলতা নিয়ে সচেতনতার কাজ হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বা ভোরের আগে গাছে না ওঠা, টর্চ না জ্বালানো, গাছে ওঠার আগে চারদিক ভাল করে দেখে নেওয়ার মতো বিষয়গুলি অবগত করানো হচ্ছে শিউলিদের।
এরকমই একজন খেজুর গুড় কারবারি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরী থানা এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে প্রতি বছর তমলুক এলাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে বাধা হয়েছে বোলতা, ভিমরুল, মৌমাছি। রস সংগ্রহ করতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে তাদের কামড়ে। প্রশাসন থেকে সচেতন করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নন্দকুমারের রেঞ্জার অতুলকৃষ্ণ দে-র কথায়, ঝোপঝাড় কমায় ভিমরুল মানুষের কাছাকাছি আসছে।” বাসা দেখলে দমকলকে ফোন করার পরামর্শও দিচ্ছেন তিনি।
শিউলিরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় খেজুর গাছে বোলতা ও ভিমরুলের আধিক্য বেশি। নিজেরা ধোঁয়া তৈরি করে রস সংগ্রহ করছে। এমনিতেই উত্তরে হওয়ার দেখা নেই। তার উপর খেজুর রস সংগ্রহ করতে গিয়ে বোলতা ও ভিমরুলের ভয় সব মিলিয়ে শীতের নলেন গুড়ের ব্যবসাকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে।





