পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেই হুগলীর বলাগড় থানার আইদা গ্রাম নিবাসী চায়নার সঙ্গে বিয়ে হয় কালনার ধর্মডাঙ্গার যুবক কামালউদ্দিন মণ্ডলের। বধূ চায়না বিবির অভিযোগ, বিয়ের পরই তাঁর স্বামী তাঁকে এক আশ্চর্য ফতোয়ার কথা জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন -Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত নিম্নচাপ, জানুন পশ্চিমবঙ্গের ওয়েদার আপডেট
advertisement
চায়না জানান, তাঁর স্বামীর ফতোয়া ছিল স্বামীর সঙ্গে সংসার করলেও নেওয়া যাবে না সন্তান। কিন্তু বিয়ের পর ছয় মাসের মধ্যে চায়না বিবি অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়ে পড়েন। আর তাতেই চটে যান কামালউদ্দিন। গর্ভের সন্তান কে নষ্ট করে দিতে হবে বলে কামালউদ্দিন জানিয়েদেন স্ত্রীকে। চায়না বিবি (Wife) এমন নিদান না মানায় স্বামী (Husband) কামালউদ্দিন সহ শ্বশুর বাড়ির দুই সদস্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে। চায়না তাঁর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চান নি। এরপর কামালউদ্দিন তাঁর প্রেগন্যান্ট (Pregnant) স্ত্রী চায়নার পেটে সজোরে লাথি মেরে তাঁর গর্ভে থাকা চার মাসের সন্তানকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কামালউদ্দিন ও তাঁর বাড়ির সদস্যরা চায়নাকে ভর্তি করেন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ভর্তি করে পালিয়ে যান তাঁরা বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসেন চায়নার বাপের বাড়ির লোকজন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চায়নার গর্ভে থাকা মৃত চার মাসের সন্তানকে বার করে। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কালনা থানায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চায়না বিবি। তারপর থেকেই পলাতক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
চায়না বিবি আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের এমন নিষ্ঠুরতা তিনি মেনে নিতে পরেন নি। তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
Malobika Biswas