৮ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমান জেলার মাধবডিহি থানার (Purba Bardhaman Madhabdihi) গোপালপুর নীলোদিঘী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যবসায়ী শেখ হামিদ আলি খানকে লুঠের উদ্দেশ্যে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা। হত্যার পর ব্যবসায়ী কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ ওঠে। পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবা দিনমজুর, টাকা ভর্তি ব্যাগ পেল ছেলে! বাড়ি ফিরে কী করল ঘাটালের স্কুলপড়ুয়া?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধ সংঘটিত করার আগে অপরাধীরা বেশ কয়েকবার রেইকি করেছিল। টাকার ব্যাগ লুঠের সময় ব্যবসায়ীর কাছে বাধা পেয়েই ব্যবসায়ীকে খুন করে বলে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দুষ্কৃতীরা স্বীকার করে।তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মাধবডিহির ছোটবৈনান এলাকায় গুলি করে ওই লটারি ব্যবসায়িকে খুন করা হয়। খুনের ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও সোর্স ইনফরমেশন-এর ভিত্তিতে ঘটনার ১০দিনের মধ্যেই খুনের কিনারা করল। বৃহস্পতিবার দিনভর তল্লাশি অভিযানে হাওড়ার সাকরাইল, জগতবল্লভপুর এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়া ও চণ্ডিতলা থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মাধবডিহি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেমারিতে পুরযুদ্ধের প্রচারে তৃনমূলের হাতিয়ার পুষ্পা প্যারোডি
শুক্রবার অভিযুক্তদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনার দিন মাধবডিহি থানার আরিকপুর এলাকার বাসিন্দা এক লটারি ও বস্ত্র ব্যবসায়ী হামিদ আলী খান তাঁর ছোটবৈনান বাজারের দোকান বন্ধ করে রাত দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় পথে একটি মোটর সাইকেলে চারজন দুষ্কৃতী হামিদ আলী খানকে পিছন থেকে গুলি করে। ওই ব্যক্তির পিঠের নীচে গুলি লাগে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জখম ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক হামিদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করতে পুলিশকে প্রথমে রীতিমত হিমশিম খেতে হলেও বিভিন্ন তথ্য ও সোর্স ইনফরমেশনের ভিত্তিতে হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন জায়গা থেকে খুনের সঙ্গে যুক্ত পুরো গ্যাংকে ধরা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই খুনের কারণ ও এর পিছনে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না তদন্ত করা হবে।