কয়েকদিন ধরেই আকাশ মেঘলা, শীত উধাও, তার ওপর বৃষ্টির জেরে আলু চাষে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।আলু চাষের জন্য জাঁকিয়ে শীত ও রোদ ঝলমলে আবহাওয়া প্রয়োজন।শীত ও রোদ দুটোই অধরা বেশ কয়েকদিন। তার জেরে আলু জমিতে ব্যাপকভাবে ধসা রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা (Potato harvest in Purba Bardhaman)।
advertisement
আরও পড়ুন : স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে দুঃস্থ পরিবারদের মাঝে খাবার ও কম্বল বিতরণ
ডিসেম্বরের বৃষ্টিতে বসানো আলু পচে গিয়েছিল। ফের নতুন করে চাষ করেছিলেন অনেকেই। বৃষ্টিতে সেই আলু গাছ ফের নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবার প্রথম দফায় আলু চাষ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষ কমেছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এবার ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এই বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ায় কিছু জমির চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জমিতে জলনিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। সেই সঙ্গে প্রতিদিন মাঠ পরিদর্শন করতে বলা হচ্ছে। কারণ, এই সময় ধসা রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগ দেখা দিলে কী ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, তা লিফলেটের মাধ্যমে চাষিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : লাগামছাড়া করোনা, এই জেলায় এখন লোক জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
এই জেলার কালনা, মেমারি,শক্তিগড়, জামালপুরে ব্যাপকভাবে আলু চাষ হয়। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেই চাষ অনেকটাই ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও শোষক পোকার আক্রমণে জেলার ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ তারপরেও ধারদেনা করে আলু চাষ করেছিলেন কৃষকরা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেই চাষ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।ধারদেনা করে চাষ করেছেন অনেকেই। মহাজনের কাছেও দেনা রয়েছে। এই অবস্থায় চাষ নষ্ট হয়ে গেলে দিন চলবে কীভাবে, তা ভেবে উঠতে পারছেন না অনেকেই।