বর্ধমানের গোলাপবাগ নিবেদিতাপল্লী এলাকায় অবস্থিত একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রি-স্কুল এবং ডে-কেয়ার স্কুলে নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ উদ্যোগ। এখানে স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি একই সঙ্গে বসে পড়াশোনা করানো হয় বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের। শুধু পড়াশোনায নয়, পাশাপাশি তাদের শেখানো হয় বিহেভিয়ার ম্যানেজমেন্ট ও কাউন্সিলিং। যাতে সকলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা এগিয়ে চলতে পারে জীবনে। বিদ্যালয়ের কর্নধার কেয়া খাতুন বলেন, প্রথমে তিনি একটি স্কুলে চাকরি করতেন, সেখান থেকেই নিজের স্কুল করার ইচ্ছা।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রবীণ রোগীদের আর দাঁড়তে হবে না লাইনে, রাজ্যে প্রথম বর্ধমানে চালু হল জেরিয়াটিক ডেন্টাল ওপিডি
কয়েকবছর আগে মেমারীতে নিজের একটি স্কুলও করেন। সেখানেই একদিন বিশেষভাবে সক্ষম একটি শিশুকে নিয়ে আসে তার অভিভাবকরা। তাঁরা জানান, শিশুটি বিশেষ ভাবে সক্ষম। তাই কোন স্কুল ভর্তি নিচ্ছে না। তিনি শিশুটিকে ভর্তি নেন তার স্কুলে এবং সেখান থেকেই শুরু তার এই কাজ। তিনি বলেন, ওই শিশুটিকে পড়াতে গিয়ে বুঝেছি, ওরাও আর পাঁচটা শিশুর মতোই। শুধু ওদের দরকার একটু ভালবাসা ও বিশেষ যত্ন।পরে বর্ধমানেও একটি স্কুল করেছেন তিনি। সেখানেও স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদর পড়ান হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পড়াশুনার পাশাপাশি নানান এক্টিভিটি করানো হয় তাদের। ভবিষ্যতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের সঙ্গে আরও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তাই তিনি নিজেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সিলিং, বিহেভিয়ার থেরাপি, অঙ্গার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে শুরু করেছেন পড়াশোনা। তাঁর কথায় বিশেষভাবে সক্ষম শব্দটি কোনও দুর্বলতা নয়, শুধু প্রয়োজন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের। একটু অতিরিক্ত যত্ন ও ভালবাসা পেলে তারাও পারবে মূলস্রোতে এসে স্বাভাবিক শিশুদের মতই নিজেদের প্রমাণ করতে।





