পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় বাড়ি ফিরে আসতে হয় দেবাশীসকে। ফুটবল খেলে তেমন রোজগার না হওয়ায় বেছে নিতে হয় অন্য রাস্তা। ছোটো থেকে আঁকতে ভালোবাসে সে। কোনওদিন প্রথাগত শিক্ষা না পেলেও, ছবি আঁকা ছাড়েনি দেবাশীস। বর্তমানে এই ছবি এঁকেই রোজগার হয় তার। এই প্রসঙ্গে দেবাশীষ জানিয়েছেন, ছবি আঁকা সে কোথাও শেখেনি। এখন সে বাচ্চাদের ছবি আঁকা শেখায় এবং ওয়াল পেন্টিংয়ের কাজ করে।
advertisement
দেবাশীসের কথায়, মুম্বইয়ে ফুটবল অনুশীলন করা কালীন ঠিক মত খাবার জুটত না তার। বাড়ি থেকে পাঠানো টাকায় দিন গুজরান হত না দেবাশীসের। অধিকাংশ দিন নুডুলস খেয়ে দিন কাটত তাঁর। তাই বাধ্য হয়ে অবশেষে ঘরে ফিরে আসতে হয় । নিজের ছেলের প্রসঙ্গে দেবাশীসের মা লক্ষ্মী বালা জানিয়েছেন,”আমার ছেলে ভাল ফুটবল খেলত। মুম্বইয়ে ফুটবল খেলত। কিন্তু আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। ওই খরচ টেনে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। এখন পেন্টিং এর কাজ করে নিজের হাত খরচ তুলে নেয়। বড়ো সুযোগ এলে খেলবে, চেষ্টা চালিয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: একক-দশক থেকে লক্ষ-নিযুত-কোটি পর্যন্ত আমরা জানি, কিন্তু কোটির পর কী কী রয়েছে জানেন?
সবুজ মাঠ , ফুটবল ছেড়ে এখন দেবাশীসের দুনিয়া রং-তুলি। তবে আগামি দিনে বড়ো সুযোগ এলে সবুজ মাঠে দুপায়ে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বর্ধমানের দেবাশীস বালা। দেবাশীসের ফের মাঠে নামার স্বপ্ন কোনওদিন বাস্তব হয় কিনা তা বলবে সময়। আপাতত তাঁর সঙ্গী দারিদ্রতা ও রং-তুলি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী