তাতেই দোতারাতে সুর তোলেন বিভিন্ন লোক গানের। লালন ফকির থেকে বাংলার বাউল তার গলায় শোনে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তার পরিজনেরা। এভাবেই দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে গানের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন এই গ্রামীন চিকিৎসক।
ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন? সবচেয়ে ‘সস্তায়’ কী ভাবে MBBS হবেন? দেশে না বিদেশে? জানুন ‘সহজ’ উপায়!
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার কুশবসান গ্রামে জন্ম। ছোটবেলায় সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারে গান-বাজনার চর্চা তেমন ছিল না। বাড়ির আর্থিক দুরবস্থার কারণে জোটেনি হারমোনিয়াম। ছেলেবেলায় কয়েকদিন গান শিখলেও বাদ্যযন্ত্রের অভাবে তা আর বেশিদূর এগোয় নি। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার ছোটবেলার সুপ্ত ইচ্ছাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখনও একাধিক গুরুর কাছে তিনি তালিম নেন। ভবা পাগলার গান থেকে শাস্ত্রীয় সংগীত এমনকি লোকসঙ্গীতেও তালিম নিচ্ছেন তিনি। পেশাগতভাবে তিনি একজন গ্রামীণ চিকিৎসক। পেশার সঙ্গে নেশাকে তিনি এক করেছেন। বিভিন্ন মঞ্চে গান গাইলেও তার প্রধান স্রোতা তার কাছে আসা রোগীরা।
এমনই এক সংগীত শিল্পী কালিপদ টুং। বাংলার বিভিন্ন টেলিভিশনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি লোকসংগীত পরিবেশন করেন। তবে সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন তিনি তার চেম্বারের সময় কাটান। চেম্বার ফাঁকা থাকলেই বসে পড়েন দোতারায়। জুড়ে দেন সুর। শুধু তাই নয় রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার পর তাদের গান শোনান কালিপদ বাবু। আর এতে বেজায় খুশি রোগীরা। ছেলেবেলায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের যে সাধ পূরণ হয়নি, বড় হতেই তাকেই করেছেন জীবনের এক অঙ্গ।
পেশার সঙ্গে একাত্ম করেছেন নেশা। ভালোবাসার সঙ্গে বেঁধেছেন দোতারার সুর। ওষুধের আগেও রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠে চিকিৎসকের গলার স্বরে। দীর্ঘ বেশ কয়েক দশকের তার এই গান-বাজনা চর্চা এবং পেশার সঙ্গে নেশার একাত্মতা থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।