অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত এক গ্রামে জন্ম অধ্যাপক সুদীপ মিশ্রের। বাবা গণিতের অধ্যাপক ছিলেন আইআইটি খড়্গপুরের। সেই সুবাদে আইআইটি খড়্গপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বহুদিনের। খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা। এরপর তিনি কানাডা চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য, সেখানেও চাকরি করেছেন। এরপর ফিরে এসে তিনি আইআইটি খড়্গপুরে যোগ দেন অধ্যাপনায়। এরপর তার নিত্য নতুন গবেষণা দেশকে আরও উন্নতির শেখরে পৌঁছে দিয়েছেন। তার তৈরি বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি যা যুব প্রজন্মকে নতুন আয়ের দিশা দেখাচ্ছে।
advertisement
প্রসঙ্গত তিনি এবং অন্যান্য অধ্যাপকেরা মিলে আইওটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর বেশ কিছু সমাধান তৈরি করেছেন, যা অত্যন্ত সুলভ এবং প্রত্যন্ত এক আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তার ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ প্রযুক্তি নজর কেড়েছে। যেমন কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় অ্যাম্বুল্যান্সে যাতায়াতের পথে স্বাস্থ্যের কোনও মনিটরিং হয় না। সেক্ষেত্রে অধ্যাপক মিশ্রের এই বিশেষ আবিষ্কার যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। দীর্ঘ যাতায়াতের পথে রোগীর স্বাস্থ্য অবস্থার পর্যবেক্ষণ করা যাবে। যার ফলে শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে।
স্বাভাবিকভাবে অধ্যাপক মিশ্রের এই অভিনব আবিষ্কার তাকে পৌঁছে দিয়েছে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে। তিনি তার সহযোগী অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী এমনকি পরিবারের থেকে সহায়তা পেয়েছেন।এসিএম-এর তরফে নির্বাচিত ৫৫ জন ফেলোর মধ্যে অধ্যাপক মিশ্র একমাত্র ভারতীয়। বুদ্ধিভিত্তিক সার্ভিস-সেন্ট্রিক সেন্সিং এবং সাসটেইনেবল ডেটা প্রসেসিং নিয়ে আইওটি নেটওয়ার্কে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য এই সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন অধ্যাপক মিশ্র। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে আয়োজিত হতে চলা অনুষ্ঠানে তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মানিত করা হবে।অধ্যাপক মিশ্র আইআইটি খড়গপুরের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আইএনএই চেয়ার প্রফেসর এবং প্রাক্তন আইএনএই আব্দুল কালাম টেকনোলজি ইনোভেশন ন্যাশনাল ফেলো। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে ১২টি বইয়ের রচয়িতা এবং ৫০০ টি গবেষণা পত্র লিখেছেন। তাঁর গবেষণাভিত্তিক কাজের জন্য দেশে বিদেশে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে তার এই সম্মানজনক ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় খুশি আইআইটি কর্তৃপক্ষ।