এই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকরা সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেমন দেরিতে স্কুলে আসেন, তেমনই ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা করান না বলেও অভিযোগ। কিন্তু বুধবার অভিভাবকদের সব ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তাঁদের মধ্যে একাংশ আগে থেকেই মোবাইলের ক্যামেরা অন করে ওঁত পেতে বসেছিলেন। সকাল সাড়ে দশটা বেজে গেছে অথচ স্কুল ফাঁকা। অবশেষে ১১টা বেজে ৫ মিনিটে প্রথমে এক শিক্ষক এলেন। এরপর অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় যখন প্রধান শিক্ষক সহ বাকি আরও দুই শিক্ষক ২০ মিনিট পর, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ ধীরেসুস্থে স্কুলে প্রবেশ করেন। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে নেন অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সাত সকালে ভরা বাজারের মধ্যে ATM লুঠ! গণধোলাই খেয়ে হাসপাতালের বিছানায় ৩ দুষ্কৃতি
কেন প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ের এতটা পরে তাঁরা স্কুলে আসেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন করলে শিক্ষকরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এর পরই শিক্ষকদের দেরিতে আসার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়া হয়। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা এবার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছেন।
আরও পড়ুন: টানা একমাসের বন্যায় নিঃস্ব ঘাটাল, শেষ সঞ্চয়
শিক্ষকদের নিয়মিত দেরিতে বিদ্যালয়ে আসা প্রসঙ্গে আমরা স্কুল পরিদর্শক প্রতিমা বাক্সের সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে বিষয়টা জেনে প্রতিক্রিয়া দেবেন বলে জানান। এখন দেখার বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একটা বিষয় পরিষ্কার, লাগাতার শিক্ষকদের দেরিতে আসার ঘটনায় অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।