বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইতে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের গান। রবীন্দ্র সঙ্গীত। সুরে এবং ছন্দে সেই গান গেয়ে ছোটদের পড়ান পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় রাজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ভাস্কর বসু। ভাস্কর বসু পেশাগত ভাবে একজন সংগীতশিল্পী। রবীন্দ্র সংগীত হোক কিংবা আধুনিক গান অথবা ফোক তার গলায় আলাদা মাধুর্য আনে। মঞ্চ সফল এক শিল্পী। তবে সেই অর্থে সকাল কিংবা সন্ধ্যা হারমোনিয়ামে রেওয়াজ করতে পারেন না তিনি। প্রতিদিন বাড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয় নিজের পেশার তাগিদে। তবে বিদ্যালয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিংবা অবসর সময়ে গুনগুনিয়ে গানের রেওয়াজ করেন তিনি।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
জন্ম তার নদিয়া জেলায়। মায়ের কাছ থেকে শুরু প্রথম জীবনে সঙ্গীতে হাতে খড়ি। সেই থেকে শুরু। মা ছিলেন একজন প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী। ছোটবেলায় বেশ কয়েকটা বছর নদিয়াতে কাটালেও কর্মসূত্রে তিনি চলে আসেন মেদিনীপুরে। বর্তমানে তিনি থাকেন খড়্গপুরে। চাকরি সূত্রে প্রতিদিনই আসতে হয় তাকে নারায়নগড়ে। কাজের চাপ থাকলেও তিনি ছাড়েননি সংগীত। শুধু তাই নয় একসময় গানের দু কলি লিখে সুর দিলেও বর্তমানে সময়ের অভাবে তা আর হয় না।
তবে এখনওবিভিন্ন থিম সং এর পাশাপাশি নিত্যনতুন গানে সুর দেন তিনি। তার গলায় যেন নতুন ভাবে প্রাণ পায় একাধিক সংগীত। সংগীতশিল্পী শিক্ষককে পেয়ে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও।প্রতিদিন শিক্ষক ভাস্কর বসুর গলায় গান শুনতে আগ্রহী ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। শুধু তাই নয় তাদের প্রিয় স্যারের সঙ্গে গুনগুনিয়ে গানও গায় তারা। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষকের এহেন গুন অবাক করবে সকলকে।
রঞ্জন চন্দ