কালনার অন্যতম বড় উৎসব এই মহিষমর্দিনী পুজো। গত দু'বছর করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পুজো হয়েছিল অনাড়ম্বর ভাবে। এবার করোনার সেই আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তাই এবার এই পুজোকে কেন্দ্র করে শহরে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। সে জন্যই অশান্তি বা দুর্ঘটনা এড়াতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর এমনটাই।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা কার, কে ষড়যন্ত্র করল? ইডি-র পরের পর প্রশ্নের মুখেও অনড় পার্থ
রবিবার কালনা পুরসভার পুরশ্রী সভাকক্ষে একটি প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে কালনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য, বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ, পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিদ্যুৎ, দমকল পুজো ও মেলা কমিটির প্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুন: সাত দিনে ৫০ ঘণ্টা জেরা, পার্থ-অর্পিতার সব গতিবিধি ক্যামেরায় তুলে রাখছে ইডি
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কালনার মিলিটারি ঘাট এবং বকুলতলার রাস্তা দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া ব্যবস্থা করা হবে। রাস্তা যাতে সংকীর্ণ না হয় তা নিশ্চিত করতে পিচ রাস্তার দুধারে কোনও অস্থায়ী দোকান বসতে দেওয়া হবে না বলে ঠিক হয়েছে। মেলা বসবে। দুর্ঘটনা এড়াতে নাগরদোলার বহন ক্ষমতা দেখে নেওয়া হবে। পুজোর দিনগুলিতে দুর্ঘটনা এড়াতে মহিষমর্দিনী তলার ঘাট ও খেয়াঘাট ছাড়া বাকি ঘাটগুলি বন্ধ রাখা হবে। ঘাটগুলি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেবার প্রস্তাব রাখা হয় বৈঠকে। সেই সঙ্গে পুজো কমিটিকে পর্যাপ্ত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলির ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু রাস্তা নো এন্ট্রি করা হবে। থাকবে সিসিটিভিতে নজরদারি, অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে মেলা প্রাঙ্গণের আশপাশে। লঞ্চ ও ভেসেলের দর্শনার্থীদের যাতায়াতের তথ্য এবং তাঁদের নিরাপত্তা জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা প্রশাসনকে জানাবে পরিবহণ দফতর।
শরদিন্দু ঘোষ