চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পৌরপ্রধান উপ পৌরপ্রধান কুম্ভঘাট মেলার জায়গা পরিদর্শন করেন। প্রয়াগের দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার ত্রিবেণী কুম্ভমেলায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। গঙ্গার স্নান ঘাটগুলো পরিদর্শন করেন প্রশাসনের আধিকারীকরা।
আরও পড়ুন: এগ্রিকালচারের পাশাপাশি হটিকালচারে আগ্রহ বাড়াতে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ উদ্যানপালন দফতরের
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজা ঘাটের পাশে রয়েছে দেশভাগের সময় তৈরি করা উদ্বাস্তুদের জন্য ক্যাম্প।সেখানে ওয়াটার গুলোর অবস্থা খুব খারাপ। চাল ভেঙে পড়ছে দেওয়ালের অবস্থাও ভাল না। গত বছর এই ক্যাম্পে নাগা সন্ন্যাসীরা ছিলেন। হোম যজ্ঞ হয়েছিল এই ক্যাম্পে। তা দেখতে প্রচুর পুণ্যার্থীর ভিড় হয়েছিল। এবারে যাতে কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে ওই ক্যাম্পে সাধুদের থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সাধুদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে মেলা কমিটিকে।
মহকুমা শাসক বলেন, “১১-১৩ ফেব্রুয়ারি কুম্ভমেলা হবে ত্রিবেণীতে। তাতে প্রচুর মানুষ আসবেন। কোনরকম যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা পুরো এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।কোনখান দিয়ে লোক বেশি আসবে কোন ঘাটে স্নান করতে নামবে। কোথায় ড্রপ গেট হবে কোথা দিয়ে গাড়ি ঢুকবে সমস্ত কিছুই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা মেলায় আসবে তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এই বিষয়টাও দেখা হচ্ছে।”
কোয়ার্টারগুলোর অবস্থা খুব খারাপ তাই ওখানে সাধুরা থাকলে বিপদের আশঙ্কা আছে তাই রিফিউজি ক্যাম্পে সাধুদের থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। মেলা কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা করবেন। তিনটি ঘাটে কুম্ভ স্নান হবে। সিভিল ডিফেন্স থাকবে পূর্ত দফতর থাকবে আর সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে। স্পিডবোটে নজরদারি চলবে। ঘাটগুলো নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।
কুম্ভমেলা কমিটির আহ্বায়ক অভিনব বসু বলেন, “গতকাল আমাদের একটা মিটিং হয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তরে। আজকে সরেজমিন করে গোটা বিষয়টা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন কি কি করতে হবে। প্রশাসনিক স্তর থেকে আমাদের সব রকম সাহায্য এবং সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আশা করি সেটা ওনারা করবেন আমাদের দিক থেকেও যা যা করনি আমরা করব। আমাদের উদ্দেশ্য কুম্ভমেলাটাকে সার্থক করা। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ চলছে সেখান থেকে অনেক নাগা সন্ন্যাসী আসবেন বলে আমরা জানি। এলাকা পরিদর্শন করার পরে শিবপুর মাঠে প্রশাসনের আধিকারিক পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে মেলা কমিটির একটি বৈঠকও হয়।”
রাহী হালদার





