চাষের এই পুরনো প্রথা এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আরও সফল হচ্ছে। গত কয়েক বছরে উত্তর ২৪ পরগনার চাষিরা নিয়মিতভাবে বায়োফ্লক, জিওমেমব্রেন পদ্ধতি, উন্নত খাদ্য ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা ব্যবস্থার মত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনই কমেছে মৃত্যুহার ও রোগ সংক্রমণ। এই পরিবর্তনে লাভের মুখ দেখছেন বহু চাষি। একসময় যারা শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতেন, আজ তারা বড় বাজার এমনকি রফতানির পথেও এগোচ্ছেন। বসিরহাট, ম, কলকাতা এমনকি ভিন রাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও এখানকার চিংড়ির চাহিদা যথেষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে অনাথ…! ৪ কিমি রাস্তা তাকিয়ে দেখেনি প্রশাসন, এবার বিরক্ত গ্রামবাসীরা যা করলেন…
চিংড়ি চাষের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় বহু পরিবার এখন স্থায়ীভাবে এই পেশার ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মও এই চাষকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। সরকার ও বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকেও প্রশিক্ষণ, ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা মিলছে। তবে সমস্যা একেবারে নেই তা নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলের মানের ওঠানামা এবং কিছু ক্ষেত্রে বাজারে দামের অনিশ্চয়তা এখনও চাষিদের চিন্তায় রাখে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে সঠিক দিশায় এগোলে এই চ্যালেঞ্জগুলিও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ চাষিরা। চিংড়ি চাষ এখন এই অঞ্চলের শুধুমাত্র পেশা নয়, বরং ঐতিহ্য, আধুনিকতা আর স্বনির্ভরতার এক অনন্য মিশ্রণ। বসিরহাট মহকুমার মাটিতে এই চাষ যেমন জীবিকার পথ, তেমনই উন্নয়নেরও ভিত্তি।
জুলফিকার মোল্যা