পৌষ মাসকে এই বাংলায় লক্ষ্মী মাস বলা হয়। এই সময়ই ধান ওঠে। সমৃদ্ধির মুখ দেখে পরিবার। নতুন চালের পিঠে তৈরি করে তা মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করা হয়। নিকোনো হয় উঠান। নতুন চাল গুঁড়ো করে পিঠে তৈরি করে তা নিবেদন করা হয় মা লক্ষ্মীকে।
আরও পড়ুন- ভালবাসার মানুষের থেকে আঘাত পেয়েছিল! মারাত্বক যে ঘটনা ঘটাল বসল তরুণী! শোরগোল...
advertisement
সারা বছরের সমৃদ্ধি কামনা করা হয় মা লক্ষ্মীর কাছে। এই রীতির মাধ্যমে লক্ষ্মী মাসের বন্দনা করেন পরিবারের মহিলারা। রাতে লক্ষ্মী পেঁচা ডেকে উঠলে মা লক্ষ্মী পুজো গ্রহণ করেছেন বলে ধরে নেওয়া হয়।
নতুন চাল গুঁড়ো করে তৈরি হয় নানা পিঠে। এখনও এই জেলায় অনেক গ্রামেই ঢেঁকি রয়েছে। চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। ঘরকন্নে সামলে দুপুরে মহিলারা ঢেঁকিতে চাল কুটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এক দল ঢেঁকিতে পা দেন। অন্যরা চাল গুঁড়ো সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন। সেই চাল দিয়ে তৈরি হবে পুর পিঠে, পুলি পিঠে, আসকে পিঠে, ঝিনুক পিঠে, পাটি সাপটা সহ নানান পিঠে।
শীতের মিষ্টি রোদ পিঠে নিয়ে নলেন গুড় দিয়ে পিঠে খাওয়ার উৎসবে মাতবে গ্রাম বাংলা। ভাঙা হয় নারকেল। সেই নারকেলে গুড় মিশিয়ে তৈরি হয় পিঠের পুর। সঙ্গে নলেন গুড় তো থাকবেই।
আরও পড়ুন- রাস্তায় হঠাৎ খুলে গেল মশারি, তার মধ্যে... চন্দননগরে বিজেপি-র অভিনব কৌশল
তার আগে এখন ঢেঁকিতে ভাঙা হচ্ছে চাল। অন্যদিকে নিকোনো হচ্ছে উঠোন। এরপর দেওয়া হবে গোবর জল। আঁকা হবে আলপনা। নতুন চালের সুখাদ্য জালমুরির পিঠে পুলি তৈরি করে পৌষ আগলাবেন মহিলারা। পূর্ব বর্ধমানের গ্রামে গ্রামে এখন পৌষ পার্বণের প্রস্তুতি তুঙ্গে।