রবিবার প্রথা অনুযায়ী রাত ন’টায় বৈতালিকে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, কর্মী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক দেবাশিস রায়-সহ বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়া, প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা। বাউল-ফকির গান, একতারা, মেঠো সুর-সবমিলিয়ে চেনা ছন্দে ২০১৯ সালের পর শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লির মাঠে ফিরেছে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এরপরই এদিন অর্থাৎ সোমবার চার বছর পর হাতে হাত ধরে পৌষমেলার আয়োজন করেছে উভয় পক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রোজ রাতে শুধু দুটি পাতা পোড়ালেই ম্যাজিক…! শরীর-মনে অভাবনীয় বদল! বাড়ির প্রভাবও চমকে দেবে
আজ থেকে পূর্বপল্লির মাঠে শুরু হল পৌষমেলা। আর শুরুতেই তা হয়ে দাঁড়াল মিলনক্ষেত্র। এদিন সকালে বৈতালিকের মাধ্যমে বোলপুরে সূচনা হল পৌষমেলা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। ১৮০০ দোকান নিয়ে মেলা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
পুরনো ঐতিহ্য মেনে গৌর প্রাঙ্গণে ভোরবেলা বৈতালিক, সানাই, উপাসনার মাধ্যমে সূচনা হল ১৮১তম পৌষ উৎসব। শান্তিনিকেতনের সর্বস্তরের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। পুরুষরা ধুতি-পাঞ্জাবি-শাল ও মেয়েরা সকলে লাল-সাদা শাড়িতে সেজে প্রথমে প্রণাম ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন গুরুদেবের উদ্দেশ্যে। দিনভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ছ’টায় উদয়ন বাড়ি ও ছাতিমতলায় হবে আলোকসজ্জা।পুরোদমে পৌষমেলার স্বাদ নিতে ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছেন বহু পর্যটক।
সৌভিক রায়