Bay Leaves Health Benefits: রোজ রাতে শুধু দুটি পাতা পোড়ালেই ম্যাজিক...! শরীর-মনে অভাবনীয় বদল! বাড়ির প্রভাবও চমকে দেবে

*তেজপাতা প্রাচীন সংস্কৃতির অংশ। এই পাতা তেজপাট্টা নামেও পরিচিত, তাদের ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত এবং খাবারে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বাড়ানো বা গন্ধের জন্য নয়, তেজপাতার একাধিক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। বহু রোগের চিকিৎসায় তেজপাতা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সংগৃহীত ছবি।

*আপনি কী জানেন, যখন এই পাতাগুলি পোড়ানো হয়, তখন তাদের সুগন্ধও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে? আমরা যেমন ধূপকাঠি ও ধুনো পোড়াই, তেজপাতাও পোড়ানো হয় কিছু বাড়িতে, উপাসনালয়ে। সংগৃহীত ছবি।

*কিছু ধর্মীয় তত্ত্ব অনুসারে, তেজপাতা পোড়ানোর কিছু অর্থ রয়েছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা মানব দেহের জন্য দুর্দান্ত। পাতা পোড়ানো আমাদের দেহের পক্ষে কতটা উপকারী, জানুন...সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতা দেহে, বিশেষ করে জয়েন্টের ব্যথা কমাতে দারুন কার্যকর। পাতায় উপস্থিত রাসায়নিক ইউজেনল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অর্থাৎ ব্যথা নিরাময়কারীর ভূমিকা পালন করে। সংগৃহীত ছবি।

*চাপ থেকে মুক্তি পেতে, তেজপাতা পোড়ানো বহু শতাব্দী ধরে চলে আসছে। তেজপাতা পড়ানো থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া রাসায়নিক বিশেষ করে লিনালুল পদার্থের সংমিশ্রণ থেকে নির্গত হয়, যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে মনকে শান্ত করে। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতা পড়ানো গন্ধ মন শান্ত করে। ঘুমের কোনও সমস্যা থাকলে এই তেজপাতা পড়ানো ধোঁয়া ঘুম আসতে সাহায্য করে। ঘুম না এলে মাত্র দুটি তেজপাতা নিয়ে পুড়িয়ে নিন, এতে মন শান্ত হবে, ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে নার্ভ রিল্যাক্স হবে, সহজেই ঘুম চলে আসবে। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতার ধোঁয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা কঠিন বা জটিল রোগের নিরাময়ে সহায়তা করে। ভাল খাবার খাওয়া, পরিমিত জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গে তেজপাতার ব্যবহার প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তোলে। তেজপাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ঠাসা, সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন এবং নানা মিনারেলস। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতায় ইউজেনলের উপস্থিতির জন্য তেজপাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পাতাগুলি ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি সমৃদ্ধ উৎস যা উচ্চ-কার্যক্ষম শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন এই পাতাগুলি পোড়ান বা খান, তখন এগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সংগৃহীত ছবি।

*ইনফেকশন বা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে তেজপাতা অত্যন্ত কার্যকর। প্রাচীনকাল থেকে তেজপাতা পড়ানোর রীতি রয়েছে। এত পাতা পড়ানো ধোঁয়া শরীরে রোগ প্রতিরোধের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তেজপাতা পড়ানো ধোঁয়া আশপাশের টক্সিনকে শরীরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতা ক্লান্তি মোকাবেলায় ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি ক্লান্তি বোধ করেন, তখন এই পাতা পোড়ালে তা থেকে যে সিনেওল, পিনিন এবং এলিমিসিন নির্গত হয়, তা গ্রহণ করলে পার্থক্য অনুভূত হয়। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতা পড়ানো ধোঁয়া বাড়িতে মশা, মাছি বা বিষাক্ত পকা-মাকড় আসা আটকাতে সাহায্য করে। সংগৃহীত ছবি।

*তেজপাতার ধোঁয়া শ্লেষ্মা এবং কফ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। তেজপাতা ব্যবহারের আরেকটি উপায় হ'ল আপনি সেগুলি পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সেদ্ধ করুন। বাষ্পটি স্টিমার বা হিউমিডিফায়ার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সংগৃহীত ছবি।