১৯৯৫ সালে বামফ্রন্টের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশান্ত সুরের হাত ধরে মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মোহনপুরে গড়ে উঠেছিল মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এলাকার এক বাসিন্দার দান করা সাত বিঘা জমির উপর এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রর বর্তমানে তার অবস্থা বেহাল। ২০১১ সালে এই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাধিপতি শামিমা সেখ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দশ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নীত করার জন্য ঢাক ঢোল পিটিয়ে একটি ফলক বসিয়েছিলেন। বর্তমানে সেই ফলকটি ঘাসের মধ্যে গড়াগড়ি খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নর্দমা তৈরিতেই বিপাকে এলাকাবাসী! আড়াই মাসে ভোগান্তি চরমে গোড়াগাছায়
ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেখানে রোগী থাকার কথা, সেখানে চলছে হাঁস মুরগি, গরু ছাগল পালন। একের পর এক কোয়াটার গুলি দখল করে বউ ছেলে মেয়ে মা-বাবা সবাইকে নিয়ে বাস করছে এলাকার মানুষ। বাকি কোয়াটারে চলছে মুরগি পালন। কোয়াটারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বড় বড় মুরগি ফার্মের গাড়ি। জানালা ভাঙা তালা বন্ধ দরজার গর্ভবতী মায়েদের ওটি রুমে বাস করছে বাঁদুড়। গোটা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে আছে আগাছার জঙ্গল । সূর্যাস্তের পর পরে হাসপাতাল চত্বরে বসে দুষ্কৃতীদের মদের ঠেক।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলের কল বসলেও তাতে ওঠে না জল। একটিমাত্র বিল্ডিং এর দুটি তিনটি রুম আছে, যেখানে কিছু ওষুধ পত্র থাকে পাশের চেয়ার টেবিলে বসে একজন নার্স। সেই নার্স এখন এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা। এলাকার মানুষের অভিযোগ ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট আসে না বললেই চলে। সকালে রোগী যা আসেন সামলাতে হয় ওই নার্সকে। গরম ও বর্ষা পড়লে চারিদিকে জঙ্গল থেকে বিষাক্ত সাপ বেরিয়ে আসে। প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তিনি জানান স্বাস্থ্য দফতরে বিষয়টি জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এর সমাধান হবে। তবে কবে সমাধান হবে, আদৌ কি সমাধান হবে , কত বছর অপেক্ষা করতে হবে, প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
সুমন সাহা