কিন্তু কেন আলু কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের? ছোট আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে তাদের আলু কিনতে হচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ক্রেতাদের ওপর। বেশি দামে তারা আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। একইসঙ্গে ছোট ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, যদি তাঁরা কম দামে আলু কেনার সুযোগ পান, তাহলে তারা ক্রেতাদের হাতেও সেই আলু কম দামে তুলে দিতে পারবেন। আলু ব্যবসায়ীদের একাংশের মন্তব্য, চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। সেজন্যই হু-হু করে আলুর দাম বেড়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকার তত্ত্ব মানতে চান না আলু কৃষকরা। আলু কৃষকদের একটা বড় অংশ দাবি করছেন, তারা যে সময় আলু চাষ করেছিলেন, সে সময় তাদের ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
advertisement
আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয়বার আলু চাষ করতে হয়েছিল। তারপরেও তারা যখন আলু বিক্রি করেছিলেন, তখন সেই অর্থে দাম পাননি। অথচ এখন সেই আলুর দাম আকাশছোঁয়া।অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে আলুর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ঠিক রাখতে এখন ভিন রাজ্যে আলু রফতানি করা যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না বাজারে নতুন আলু আসছে, ততদিন আলু রফতানি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যদিও এই নির্দেশ কয়েক মাস আগেও দেওয়া হয়েছিল। আলু বোঝাই গাড়ি সীমান্তে আটকে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আলু ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
আর এসবের মধ্যেই প্রশাসনের এই সদর্থক ভূমিকা দেখে কিছুটা আশা জাগছে সাধারণ মানুষের মনে। বাজারে নতুন আলু আসতে এখনও মাস খানেক দেরি রয়েছে বলেই মনে করছেন ক্রেতারা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আলুর দামে যদি রাশ টানা যায়, তাহলে তা সকলের জন্য সুবিধা হবে। প্রশাসনের এই নির্দেশিকার পর আলু ব্যবসায়ীরা কী ভূমিকা নেবেন, কতটা আয়ত্তের মধ্যে আসবে আলুর দাম, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে আমজনতা।