আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে নদিয়ার বিভিন্ন বাজারে প্রায় ৫০ টাকা কেজি প্রতি দামে আলু কিনতে বাধ্য হয়েছে সাধারণ মানুষ। বিষয়টি নজরে আসতেই মঙ্গলবার বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলু নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বুধবার ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এখানে আলোচনার পর ধর্মঘট তুলে নেন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুরে তলিয়ে যাচ্ছিল জমজ ভাই, একজন বাঁচলেও অন্যজনকে রক্ষা করা গেল না
তবে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গেলেও আলুর দাম বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় একই থেকে গিয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। জেলার বিভিন্ন বাজারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, বেশ কিছু বাজারে এখনও আলুর নতুন গাড়ি এসে পৌঁছয়নি। যার ফলে পূর্ববর্তী দাম অর্থাৎ ধর্মঘটের সময় যে দাম বৃদ্ধি হয়েছিল, সেই দামেই বিক্রি করা হচ্ছে আলু।
নদিয়ার করিমপুর বাজারের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা জানান, নতুন করে এখনও আলু এসে পৌঁছয়নি। স্টোর বন্ধ হওয়ার আগে আমাদের কাছে যে আলু মজুত করা ছিল, সেই আলুই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গতকাল ৫০ কেজির বস্তা ১২৪০ টাকা করে লোডিং করা হয়। যেই বস্তা বিক্রি করা হয়েছে ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকা করে। সেই হিসেব করলে এক কেজি আলুর পাইকারি হিসেব পড়ছে ২৭ টাকা। তিনি আশা প্রকাশ করে জানান, বাজারে আলুর নতুন গাড়ি ঢুকলেই দাম কমতে শুরু করবে।
বাজার করতে আসা গীতা সরকার জানান, এখনও বেশ দামি রয়ে গিয়েছে আলু। আজ বাজারে ৩৮ টাকা কেজি হিসেবে আলু কিনেছি। দামটা আরও খানিকটা কমলে সুবিধা হয়্ কারণ সবাই তো আর এই দাম দিয়ে কিনে খেতে পারবে না। আগে ২০ টাকা কেজি প্রতি আলু পাওয়া যেত, সেই আলুই এখন প্রায় ৪০ টাকা প্রতি কেজি দাম ছুঁয়েছে। পুনরায় যদি আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি প্রতি দরে পাওয়া যায় তাহলে সুবিধা হয় সাধারণ মানুষের।
মৈনাক দেবনাথ