TRENDING:

East Bardhaman News: বীজের দাম কমলেও সার কিনতে গিয়ে পকেটে কোপ, ক্ষোভে ফুঁসছেন আলু চাষিরা

Last Updated:

East Bardhaman News: বীজের দাম কমলেও বেশি নেওয়া হচ্ছে সারের দাম। নির্দিষ্ট নির্ধারিত দামের থেকেও সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।এমনই অভিযোগ তুলছেন পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভার চাষিরা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্বস্থলী, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: শীতের শুরুতেই শুরু হয়েছে আলু লাগানোর কাজ। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি পূর্বস্থলী জুড়েও শুরু হয়েছে আলু চাষ৷ গতবছরের তুলনায় এবছর আলুর বীজের দাম কমেছে। তবে বীজের দাম কমলেও বেশি নেওয়া হচ্ছে সারের দাম। নির্দিষ্ট নির্ধারিত দামের থেকেও সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলছেন পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভার চাষিরা৷
advertisement

এ নিয়ে তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন৷ পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে প্রতি বছর ৭০ থেকে ৭২ হাজার হেক্টর আলু চাষ হয়৷ আর কাটোয়া মহকুমার পাঁচ ব্লক জুড়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর বিঘা জমিতে আলু চাষ হয়৷ জ্যোতি, চন্দ্রমুখী ও পোখরাজ এই তিন জাতের আলু চাষ হয়৷ যদিও এরমধ্যে জ্যোতি জাতের আলু বেশি চাষ হয়৷ পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা, কালেখাঁতলা -১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় জ্যোতি জাতের আলু চাষ বেশি হয়।

advertisement

আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর শক্তিশালী…! শুক্রের দুরন্ত চালে কাঁপবে দুনিয়া, মীন-সহ ৩ রাশির লটারি, বিপুল ধনবর্ষা, বছরভর টাকা গুনে শেষ হবে না

পূর্বস্থলী-২ ব্লকে প্রায় ৫০০-৬০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়৷ তবে এবার সারের দাম নির্ধারিত মূল্যের থেকেও প্রায় দু’শো টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে৷ তাতেই এলাকার গরীব চাষিরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন৷ বিশ্বরম্ভা এলাকার আলু চাষি বিমল দাস বলেন, ‘কিছু কিছু সার প্রিন্টের থেকেও দাম বেশি। সারের কালোবাজারি হচ্ছে। এছাড়া আলু সেভাবে বিক্রি হয়না, বাইরে যাওয়া সব বন্ধ। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ। কিন্তু সেভাবে লাভ নেই। সুদে টাকা নিয়ে চাষ করে মহাজনকে কিভাবে টাকা মেটাব সেটাই বুঝতে পারিনা।’

advertisement

আরও পড়ুন-নভেম্বরের শেষেই বিরাট কামাল…! শুক্র-মঙ্গলের রাজকীয় সংযোগে বাম্পার ‘জ্যাকপট’, গোল্ডেন টাইম শুরু ৫ রাশির, সোনায় মুড়বে কপাল

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বীজের দাম কমলেও সার কিনতে গিয়ে পকেটে কোপ, ক্ষোভে ফুঁসছেন আলু চাষিরা 
আরও দেখুন

পূর্ব বর্ধমান জেলার সবজি ভাণ্ডার বলা হয় পূর্বস্থলী ২ ব্লককে। এলাকায় পাঁচটি বড় পাইকারি সবজি আড়ত আছে। এরমধ্যে সব থেকে বড় পাইকারি বাজারটি হল কালেখাঁতলায়। এছাড়া পারুলিয়া, ফলেয়া, জামালপুর মোড়, বিশ্বরম্ভাতেও পাইকারি সবজি বাজার আছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সবজি সবই বিক্রি হয় এখানকার বাজার গুলি থেকে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সবজি ব্যবসায়ীরা পূর্বস্থলীর আড়ত থেকে সবজি সংগ্রহ করে থাকেন। বারোমাস নানা রকম শাক সবজির আমদানি হয়। ফলনও ভাল হয়। পাশাপাশি পেঁয়াজ ও আলু চাষও করেন অনেক চাষিই৷ কিন্তু সারের কালোবাজারি হওয়ার অভিযোগ তুলছেন চাষিরা৷ আর এক আলু চাষি ভগীরথ মণ্ডল বলেন, ‘বীজের দাম ঠিক থাকলেও সারের দাম অনেক বেশি। গতবারের থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। যে যেমন পাচ্ছে সেরকম দাম নিচ্ছে।’ যদিও কৃষিদফতরের কোনও অফিসারই এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি৷ তবে এক সার বিক্রেতা জানান, সারের সঙ্গে বিভিন্ন অনুখাদ্য ট্যাগ হিসাবে কোম্পানি থেকে দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু চাষিরা সেইসব অনুখাদ্য নিতে রাজি হচ্ছেন না৷ স্বভাবতই আমাদের ওই অনুখাদ্যের দাম তখন সারের সঙ্গেই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ যারফলে নির্ধারিত মূল্যের থেকে কিছুটা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে৷ তবে কালোবাজারি করা হচ্ছে না৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: বীজের দাম কমলেও সার কিনতে গিয়ে পকেটে কোপ, ক্ষোভে ফুঁসছেন আলু চাষিরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল