স্থানীয়দের একাংশ পোস্টারকে সমর্থন জানিয়ে অভিযোগ করেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব মানুষ,মাটির বাড়িতে বসবাস করেন, তাঁদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় তোলা হয়নি। অন্যদিকে, পাকাবাড়ি থাকা সত্ত্বেও লোকজন প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের নাম তালিকায় তুলে দিয়েছে। সমীক্ষা কর্মীদের একাংশ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন, বড়দিনের আনন্দে বড় কোপ! সঙ্গী খারাপ আবহাওয়া? জানুন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস
advertisement
আরও পড়ুন,দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্য়াস ট্য়াঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, হতাহত বহু! দগ্ধ হয়ে রাস্তায় ছুটছেন মানুষ
স্থানীয় সিপিএম নেতা সুধাকর মালিকের অভিযোগ, "এই পোস্টার আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল।" তাঁর অভিযোগ, আবাস যোজনা তালিকা সার্ভে করার মতো পরিস্থিতি নেই। শাসকদলের চাপে সমীক্ষাকর্মীরা সঠিক সার্ভে করতে পারেননি বলেও মত বাম নেতার।
অন্যদিকে, আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা। তাঁর দাবি, "অনেক গরিব মানুষের নামই বাড়ির তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আমরা বিডিও-কে বিষয়টি জানাব। প্রয়োজনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।"
যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষ এদিন দাবি করেন, আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে ব্লক লেভেলে ঠিকমতো সার্ভে করেছেন আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীরা। এখানে প্রধানের প্রভাব খাটানোর কোনও জায়গাই ছিল না।
বিরোধীদের কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের মন্তব্য, "অভিযোগ জানানোর তো জায়গা আছে। কারও নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ গেলে তিনি বিডিও অফিসে জানান। বিরোধীদের কাজ নেই। ওঁরা তো বিরোধিতা করার জন্যই আছে।"
একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায় যথেষ্ট ভয়ের মধ্যেই আছেন আশাকর্মী কিংবা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। অনেকেই আর সমীক্ষা করতে চাইছেন না। অনিচ্ছার কথা তাঁরা স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকেও জানিয়েছেন। কোথাও কোথাও তো আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ছুটিতে চলে গিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেতে গেলে কিছু শর্ত রয়েছে। অনেকের আর্থিক অবস্থা সেইসব শর্তের বাইরে। তা ছাড়া, অনেকের পাকাবাড়ি রয়েছে। তাই তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। অভিযোগ, এখন সেই সমস্ত মানুষদের হুমকি, চোখ রাঙানির সামনে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।