রেলের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ( সি আই বি) ও বর্ধমান রেল পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ডাউন কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেসের বাতানুকুল কামরা থেকে একটি বড় চটের ব্যাগে দুটি বিরল প্রজাতির সজারু উদ্ধার করল। এই ঘটনায় যুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রেলপুলিশ। সজারু দুটি উদ্ধার হওয়ার পরই রেল পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়। বন দফতর থেকে একজন রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে কর্মীরা আরপিএফ পোস্টে গিয়ে সজারু দুটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
advertisement
ট্রেনের বাতানুকুল কামরায় রেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী তরুণ কুমার ঘোষের হেফাজতে সজারু রাখা ব্যাগটিকে রেখেছিল অন্য দুই ধৃত গণেশ সাউ ও পিন্টু কুমার। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত তরুণ কুমার ঘোষের বাড়ি উত্তর ২৪পরগনার গোপালপুর। অন্যদিকে গণেশ সাউ এর বাড়ি ঝাড়খণ্ড এর গিরিডি এবং পিন্টু কুমারের বাড়ি দিল্লিতে।
আরও পড়ুন : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে গেল গাড়ি, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ৩ শিশুর যে অভিজ্ঞতা হল
বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস বলেন,দুটি ধবধবে সাদা রঙের হিমালয়ান সজারু রেলপুলিশ উদ্ধার করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সজারু দুটি শারীরিক ভাবে সুস্থ বলেই মনে করা হচ্ছে। বন দফতরের চিকিৎসক সজারু দুটির শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। পরবর্তী সময়ে এই দুটি বিরল প্রজাতির সজারুকে কোথায় রাখা হবে বা ছাড়া হবে সেই বিষয়ে জেলা বিভাগীয় বনাধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
রেলপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিআইবির তথ্যের ভিত্তিতে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নং প্ল্যাটফর্মে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে অভিযান চালানো হয়। ট্রেনের একটি বাতানুকূল কামরায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বড় চটের ব্যাগের ভিতর দুটি সজারু উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে এই সজারু দুটিকে যে তিনজন নিয়ে আসছিল তাদেরও আটক করা হয়।
আরও পড়ুন : স্ত্রী কেটকে ছাড়া একাই প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়েতে গেলেন প্রিন্স উইলিয়াম
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, সজারুগুলোকে শিয়ালদহ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেখানে এক ব্যক্তির কাছে প্রায় এক লক্ষ টকার বিনিময়ে সজারু দুটিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। এরপরই বন্যপ্রাণী পাচার ও বিক্রি করার অপরাধে তিনজনকেই গ্রেফতার করে রেলপুলিশ। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরার ধর্মানগর থেকে ধৃতরা এই সজারু গুলোকে নিয়ে আসছিলো।