১৯৪২ সালে চাঁপদানী সাত নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর পিবিএম রোডে তৈরি হয় পিবিএম রোড হিন্দি প্রাইমারি স্কুল। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় ভাড়া দিয়ে প্রায় ৮৩ বছর ধরে চলে আসছে এই স্কুল। বহু ছাত্র-ছাত্রী এখান থেকে পাশ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভিযোগ, এত বছর ধরে স্কুল চলার পরও স্কুলের পরিকাঠামো দিক থেকে কোনরকম কোন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে স্কুলে। সাত জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে মিড ডে মিল দেওয়া হয় সেখানে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ছয়টা শ্রেণীর জন্য শ্রেণী কক্ষ রয়েছে মোটে চারটে। একটি ঘরে এপিট ওপিঠ করে বসে ক্লাস নেন শিক্ষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাত্র-শিক্ষক হাতে হাত মিলিয়ে চাষবাস! স্কুলেই ফলছে আলু থেকে শাকসবজি
কোন জায়গায় টালির চাল ভাঙা আবার কোন ক্লাসরুমে জানলার কাঁচ নেই। স্কুলে একটি শৌচালয় থাকলেও তা ব্যবহারের অযোগ্য। তা ব্যবহার করতে পারেনা ছাত্র-ছাত্রীরা। যে কারণে পাশের একটি নর্দমা তাদের শৌচালয় হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। এমনকি গোটা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার জন্য কোন ঘর পর্যন্ত নেই। এই নিয়ে এর আগেও শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পাশাপাশি স্কুল সূত্রে জানা যায়, যেহেতু পুরো স্কুলটাই ভাড়া বাড়িতে চলে তাই কোনরকম কোন নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রোদ জল বৃষ্টিতে বাচ্চাদের কষ্ট হলেও সেখানেই থাকতে হয় তাদের। এক সময়ের বিধায়ক আব্দুল মান্নান পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন স্কুলটি সংস্কারের জন্য। কিন্তু আইনি জটে তা সম্ভব হয়নি বলে জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর দারোগা রাজভর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সাবধানে পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র বলেন, “আগেও পুরসভা থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা এখন কোর্টে আছে। যিনি জায়গার মালিক তিনি যদি স্কুলকে হ্যান্ডওভার করে দেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তারপরে কি অবস্থায় আছে আমাদের জানা নেই। স্কুলটা জানি পুরসভা এলাকার মধ্যে হলেও এটা প্রাথমিক শিক্ষার সংসদের নিয়ন্ত্রণে আছে। চাঁপদানীতে অনেকগুলো স্কুল আছে, স্কুলে অনেক বাচ্চা কমে যাচ্ছে। সেখানে যদি একটা জায়গা পাওয়া যায় যেখানে স্কুলগুলোকে এক করে দেওয়া যায়। তাহলে স্কুলগুলো বেঁচে যাবে। আমাদের এলাকার অনেকগুলো জুট মিল আছে, তাদের জায়গাও আছে, প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে।”
রাহী হালদার





