প্রসঙ্গত এ বিষয়ে তিনি জানান প্রায় প্রত্যেকটি থানাতেই একজন লিগ্যাল অ্যাডভাইজার থাকেন বিভিন্ন বিষয়ে আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তারা তো রয়েছেন, এছাড়াও, প্রত্যেক থানার আইসি কিংবা ওসি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সাধারণ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে কিছু ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত হয়ে নানান সমস্যা সমাধান করতে স্বঘোষিত দুই এক জন মহিলা গোষ্ঠী অথবা মহিলা সমিতিকে সমাধানের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ডাকছেন অথবা তাদের আমন্ত্রণকে সম্মতি দিচ্ছেন। কিন্তু এটা কখনওই আইনগ্রাহ্য নয় বরং বেআইনি।
advertisement
সূত্রের খবর, গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ রানাঘাট পুলিশ জেলার হাসখালি, বগুলা, রানাঘাট সহ একাধিক জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতন সমাজ সেবার নামে গজিয়ে উঠেছে বিভিন্ন মহিলা গোষ্ঠী সমিতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই NGO রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন নামের মহিলা সমিতি খুলে টাকার বিনিময়ে আদালতে বিচারাধীন হোক বা না হোক, সালিশি সভা স্টাইলে সাংসারিক ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের নামে তোলাবাজি চালাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। কিছু ক্ষেত্রে এই মহিলা সমিতি গুলির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হলেও তাদের ভয়ে অনেকেই পুলিশ এর কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে না। ফলে নির্দ্বিধায় সমান্তরাল আইনি ব্যবস্থা চালাচ্ছে মহিলা গোষ্ঠী কিংবা সমিতি গুলি। এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশের মধ্যে দিয়ে মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করা হচ্ছে ।
সম্প্রতি হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট সহ একাধিক জায়গায় ঘটা এমন বিষয় সামনে আসায় নড়ে চড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। আর তাই এবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মানুষকে এদের বিরুদ্ধে আইনের পথে যাওয়ার কথা বললেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এদিন তিনি আশ্বাস দিয়েছেন অভিযোগ জমা হলে এই সব মহিলা সমিতি গুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তিনি এও উল্লেখ করেন প্রায় একই উচ্চারিত নামের একটি সমিতি হয়তো ভালো কাজ করছে কিন্তু অন্য সমিতি খারাপ কাজ করছে এক্ষেত্রে ভালো কাজের যেমন প্রশংসার দাবি রাখে তেমনই খারাপ কাজের জন্য রয়েছে আইনি কঠোর ব্যবস্থা।






