তমলুক মহকুমা অফিস সংলগ্ন একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসে পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত হয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক। বিশেষত ব্যাঙ্ক ও সোনার দোকানদারদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (ডিইবি) শান্তব্রত চন্দ, তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার, তমলুক থানার আইসি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ সহ অন্যান্যরা। পুজোর আগে কেনাকাটার জন্য ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলিতে গ্রাহকেরা টাকা পয়সা তোলেন। অন্যদিকে বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটার জন্য নগদ লেনদেনও বেড়ে যায়। ফলে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনার ঝুঁকি থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডাকাতি-লুঠের ভয় শেষ! সুইচ টিপলেই থানায় বাজবে সাইরেন, আসবে পুলিশ! শুরু হয়ে গেল নয়া ‘সিস্টেম’
এই বিষয়ে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার বলেন, ‘সামনে পুজোর মরশুমে বিভিন্ন সামগ্রী যেমন গয়না কেনাকাটা থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের লেনদেন অনেকটাই বাড়তে থাকে। সেটার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা রীতিমতো সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই জন্যই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিনের বৈঠকে ব্যাঙ্ক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিজেদের নানা সমস্যার কথা খোলামেলাভাবে তুলে ধরেন। একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে যাতে তথ্য আদান-প্রদান আরও দ্রুত ও কার্যকরীভাবে করা যায়, সেই জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ব্যাঙ্ক প্রতিনিধি এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়। এতে কোনও সমস্যা দেখা দিলে বা কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করলে সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য গ্রুপে জানাতে পারবেন সদস্যরা। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ফলে পুজোর আগে এলাকার বিভিন্ন সোনার দোকান, ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়তি পদক্ষেপ নিল পুলিশ।