ডাকাতি-লুঠের ভয় শেষ! সুইচ টিপলেই থানায় বাজবে সাইরেন, আসবে পুলিশ! শুরু হয়ে গেল নয়া 'সিস্টেম'

Last Updated:

Theft Alarm System: কোনও দুষ্কৃতী যদি দোকানে হানা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে সুইচ টিপলেই থানায় বা ফাঁড়িতে সাইরেন বাজবে

+
শিলিগুড়িতে

শিলিগুড়িতে চালু হল থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম

শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্যঃ শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে রয়েছে একাধিক সোনার দোকান। ইতিমধ্যে চারপাশে রঙিন আলোর সাজে সেজে উঠেছে দোকানগুলি, পুজোর আমেজে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের। কিন্তু উৎসবের আনন্দের মাঝেই ব্যবসায়ীদের মনে ডাকাতি ও লুঠের ভয়। গত কয়েক মাসে বারবার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই আতঙ্কই যেন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
ঠিক এমন সময়েই স্বস্তির হাওয়া বইয়ে দিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। বুধবার পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল আধুনিক ‘থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম’। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং, এডিসিপি রবিন থাপা, শিলিগুড়ি থানার আইসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ও অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা।
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকারি পরিষেবা! ‘এই’ রোগাক্রান্তদের আর ছুটোছুটি করতে হবে না! জেলায় নয়া উদ্যোগ
এই অ্যালার্ম সিস্টেমের বিশেষত্ব কী? ব্যবসায়ীদের দোকানে বসানো থাকবে একটি ছোট সুইচ। কোনও দুষ্কৃতী যদি দোকানে হানা দেয়, সঙ্গে সঙ্গে সেই সুইচ টিপলেই থানায় বা ফাঁড়িতে সাইরেন বাজবে। একই সঙ্গে মনিটরে ভেসে উঠবে দোকানের নাম, মালিকের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।
advertisement
advertisement
মালদার একটি বেসরকারি সংস্থা এই সার্ভার বসাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির অধীনস্থ এলাকায় ১০০টি অ্যালার্ম যুক্ত করা হচ্ছে। খরচও তুলনামূলক কম। বড় দোকানে ১৫-১৭ হাজার টাকা, ছোট দোকানে ১০-১২ হাজার টাকাতেই বসানো যাবে এই ডিভাইস। তবে খরচ বহন করতে হবে ব্যবসায়ীদেরই।
আরও পড়ুনঃ চোর ধরতে পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ! দত্তপুকুরে ‘এই’ রাস্তা অবরোধ করে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং জানালেন, পরীক্ষামূলকভাবে একটি সোনার দোকানে এই ডিভাইস বসানো হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকি ব্যবসায়ীদের বোঝানো হবে যাতে তাঁরাও এই সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসেন। তাঁর দাবি, ‘এই প্রযুক্তি চালু হলে অপরাধীরা অনেকটাই নিরুৎসাহিত হবে ও পুলিশও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে’।
advertisement
পুজোর মুখে যখন শহর রঙে-আলোয় সাজছে, তখন এমন এক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিল ব্যবসায়ী মহলে। দোকানের মালিকেরা বলছেন, ‘এই অ্যালার্ম সিস্টেম থাকলে অন্তত রাতের ঘুমটা শান্তিতে হবে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিলিগুড়ি শহর দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে সোনার দোকান ও এটিএম ঘিরে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ভয় বেড়েছিল বহুগুণ। পুজোর মুখে পুলিশের এই উদ্যোগ শুধু প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নয়, বরং শহরবাসীর মনে নতুন ভরসার আলো জ্বালাল। ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস, ‘থেফট অ্যালার্ম সিস্টেম’ চালু হলে ডাকাত-দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমবে এবং পুলিশের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হবে। বলা যায়, উৎসবের আগেই শিলিগুড়ি পেল নিরাপত্তার এক নতুন ঢাল।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ডাকাতি-লুঠের ভয় শেষ! সুইচ টিপলেই থানায় বাজবে সাইরেন, আসবে পুলিশ! শুরু হয়ে গেল নয়া 'সিস্টেম'
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement