আবার ওই জেলা থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। চোরাই মোবাইল ফোন হাত বদল করে পাচার হয়ে যাচ্ছে পাশের ওই জেলাগুলিতে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তদন্তে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
চুরি করা মোবাইল ফোন জেলায় না রেখে তা পাশের জেলায় বিক্রি করে দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এই মোবাইল ফোন চুরি চক্রের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু মোবাইল ফোন আসল মালিকদের হাতে তুলে দেওয়াও হয়েছে।
advertisement
মোবাইল ফোন চুরি চক্রের হদিশ পেতে অভিযান চালিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। তাদের সহযোগিতায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া দশটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
শুক্রবার সেই মোবাইল ফোন গুলি তাঁদের মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। চুরি যাওয়া ফোন ফেরত পেয়ে খুশি আসল মালিকরা। রেল পুলিশও চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারে ভাল সাফল্য পেয়েছে। রেলের এলাকা থেকে চুরি যাওয়া ২৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে রেল পুলিশ।
চার মাস আগে কলেজ পড়ুয়া সমাপ্তি হালদারের ফোন চুরি হয়েছিল। সেই ফোন ফেরত পাবার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলেন সমাপ্তি। সেই ফোন উদ্ধার করে তাঁর হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে আউশগ্রামের ছুড়া ফাঁড়ির পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'অনেকে কালীঘাটে যান, উনি ওখানে করেছেন!' মমতাকে শুভেন্দুর প্রণাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে এই ফোনগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ছুরি নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা, জলপাইগুড়িতে ৮ জনকে কোপাল যুবক! আশঙ্কাজনক ৪
দেখা গিয়েছে, এখানকার ফোন যেমন বীরভূম মুর্শিদাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনই সেখানকার ফোনও এখানে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। মোবাইল ফোন চুরির চক্রে যে আন্ত জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে, তা এই উদ্ধার হওয়া ফোনগুলি প্রমাণ করছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি চুরি যাওয়া ফোন উদ্ধার করে আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুলিশও।