বর্ধমান শহর লাগোয়া গোপালনগরে হেরোইন তৈরির কারবার ফেঁদেছিল বাবর মণ্ডল ও তার ছেলে রাহুল। মণিপুর সহ বাইরের রাজ্য থেকে পোস্তর খোলা, পোস্তর আঠা ও রাসায়নিক নিয়ে আসা হতো। সেইসব মিশিয়ে এই কারখানায় তৈরি হতো হেরোইন। এরপর তা বিভিন্ন হাত ঘুরে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ও অন্যান্য রাজ্যে চড়া দামে বিক্রি করা হতো। ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা ভেবেই গোপালনগরকে কারখানা তৈরির জন্য বেছে নিয়েছিল তারা। জাতীয় সড়ক খুব কাছে হওয়ায় এখানে কাঁচামাল নিয়ে আসা এবং তৈরি হওয়া হেরোইন পাচার করে দেওয়া বেশ সহজ ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই কারবার এখানে চালানো হচ্ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোর চারটে, পার্ক সার্কাসে এক সাফাইকর্মী যা দেখলেন, ফের সমাজের মাথা হেঁট!
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলকোটে জমি রয়েছে বাবর মন্ডলের। বছর দশেক আগে সে সেখানে গোপনে পোস্ত চাষ শুরু করে। ছ সাত বছর সেখানে সে পোস্ত চাষ করেছিল। তার থেকে মোটা টাকা আয় হয় তার। হেরোইন কারবারিদের কাছে সে নিয়মিত পোস্তর খোলের আঠা সরবরাহ করত।
আরও পড়ুন: বাংলা আকাদেমির চেয়ারম্যান হলেন ব্রাত্য বসু, চমকে ভরা ১৩ আমন্ত্রিত সদস্যের তালিকা
বর্তমানে এক কেজি পোস্ত আঠার দাম ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তাই অল্প জমিতে পোস্ত চাষ করেই বহু টাকা রোজগার করেছিল বাবর মণ্ডল। সেই পোস্ত চাষের সূত্রেই হেরোইন কারবারের অনেক কিছু জেনে নিয়েছিল বাবর। পোস্ত চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বর্ধমানে এই কোটি কোটি টাকার হেরোইনের কারবার শুরু করে বাবর মন্ডল ও তার ছেলে রাহুল।