দুষ্কৃতীদের ভোজালির কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন এক জন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে রবিবার সন্ধে পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আউশগ্রামের ছোড়া কলোনিতে পুলিশের এস আই সুশান্ত বিশ্বাসের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি হাওড়া গ্রামীন পুলিশ জেলার এস আই পদে কর্মরত। তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
advertisement
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রভাব ভারতের সীমান্তেও, রয়েছে বাড়তি সতর্কতা
তাঁর হাত পা মুখ চোখ বেঁধে ফেলা হয়। একটি ঘরে তাঁকে ঢুকতে বাধ্য করা হয়। প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাড়ির অন্যান্যদেরও ওই ঘরে ঢুকিয়ে বেঁধে রেখে অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা।
শব্দ পেয়ে এক প্রতিবেশী এগিয়ে এলে তাকে ভোজালির কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। তার দেহের তিন জায়গায় ভোজালির কোপ মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, পালানোর সময় গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। দলে তারা অন্তত পনেরো জন ছিল। বাকিরা বাইরে ছিল। দশ জন বাড়িতে ঢুকে অপারেশন চালায়। রাত দুটো থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আধ ঘন্টা ধরে অপারেশন চালায় দুষ্কৃতীরা।
চলে যাওয়ার সময় ঘরের দরজা বাইরের দিক থেকে বন্ধ করে দিয়ে যায় তারা। গুলির শব্দ ও পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকিতে ঘটনার পর ওই বাড়ির সামনে জমা হন স্হানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় আউশগ্রাম থানায়। জখম ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন- জোর করে বিয়ে! পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে যা করল নাবালিকা, পুলিশ আসতেই…
ঘটনার জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। রবিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সহ পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের হদিশ পেতে আশপাশের থানাগুলিকেও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।