পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। কোমরে দড়ি বাঁধা দুই যুবককে ভরা বাজার এলাকায় পুলিশ হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে তাদের চোর বলে পরিচিত করানো হচ্ছে - এই ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়ে উঠেছে। দুই অভিযুক্তকে এলাকায় ঘোরানো হচ্ছে দেখে পথচলতি অনেকেই মোবাইলে ছবি তোলেন। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন যথেষ্টই অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। কেন এমন ঘটনা ঘটলো তা জামালপুর থানার অফিসারদের কাছে ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানতে চেয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভূমিকা ছিল ওই রাতে, ডেকে পাঠানো হল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে, আনিস কাণ্ডে খুলবে জট?
ঠিক কী ঘটেছিল? গত সোমবার সকালে জামালপুর থানার কাছে পর পর তিনটি দোকানে চুরি হয়। অ্যাসবেসটসের ছাদ ভেঙে বেশ কিছু সামগ্রী চুরি করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় পুলমাথা এলাকার থেকে লব বেরা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। পরে সেলিমাবাদ থেকে শেখ শাবির নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার কোমরে দড়ি বেঁধে তাদের এলাকায় ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বললেন SIT তদন্তকারীরা, CBI তদন্তের দাবি পরিবারের
জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্যই ওই দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু বাজার এলাকায় ওই দুজনকে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়াররাও। সেখানে তাদের বার বার এরা চোর এদের চিনে রাখ - এমনটা বলতে শোনা গেছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে অভিযুক্তকে কখনোই এভাবে চিহ্নিত করা যায় না। সে কারণেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
