অঙ্গন ওয়াড়ি কেন্দ্রের ওই রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীর সাফাই, ‘গরম খাবারে বিছে পড়েছে, তাই খুব একটা ক্ষতি নেই। গরমে বিষ কেটে গিয়েছে’, চাঞ্চল্যকর দাবি তাঁর। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুল চত্বরে ছুটে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার হিজলিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। আর এই ঘটনার পরে থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শীতের মধ্যেই প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! বঙ্গে কী প্রভাব? কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানুন
এ দিন স্কুল থেকে দেওয়া মিড ডে মিলের খিচুড়ি বাড়ি নিয়ে যেতেই, অভিভাবকদের চোখে পড়ে সেটি। তখনই সেই বিষাক্ত পোকা-সহ খিচুড়ি স্কুলেই নিয়ে আসেন তারা। যদিওবা তার আগেই স্কুল থেকে চম্পট দেন রান্না এবং শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা সেরিনা খাতুন। এরপরে স্থানীয় বাসিন্দারা দল বেঁধেই হাজির হন সেরিনা খাতুনের বাড়িতে। সেরিনা খাতুনের দাবি, ‘যেখানে রান্নার কাজ হয় সেখানে রান্নার কাজের পরিস্থিতি নেই, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্বেও রান্নার উপরে তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়নি। আমি কী করতে পারি। শিশুদের শারীরিক ক্ষতি হলে দায় কে নেবে?’
প্রশ্ন করা হলে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সেরিনা খাতুনের বিস্ফোরক এবং হাস্যকর দাবি, ‘গরম খাবারের ভিতরে বিছে পড়েছে, তাই বিষ কেটে গিয়েছে। খুব একটা ক্ষতি হবে না’। ওই স্কুলের ভিতরে ঢুঁ মারতেই দেখা গেল, যেখানে রান্না করা হয় ঠিক তার উপরে জরাজীর্ণ অবস্থায় টালির চালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। রান্নার উনুনের আশেপাশে নোংরা আবর্জনায় ভরে। আর সব থেকে অবাক করা কাণ্ড, যে ঘরটিতে শিশুদের পড়াশোনা করানো হয়, সেখানে দেখা গেল রান্নার কাঠ, বাঁশ, নোংরা আবর্জনায় ভরা। ঠিক যেন সাপের আঁতুড়ঘর।
শিশুদের পড়াশুনোর দায়িত্বে কে রয়েছে! সেরিনা খাতুনের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘রান্না করতে করতে আমিই ওদের পড়াই’। স্থানীয় এক মহিলার চাঞ্চল্যকর দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন আমার মেয়েকে দিয়েই সেরিনা খাতুন অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের শিশুদের খাবারের চাল ডাল ধোয়ানো থেকে শুরু করে রান্নার সব কাজ করায়। বিনিময়ে শুধু একটু খিচুড়ি দেয়, কোনও টাকা দেয় না। প্রশ্ন উঠছে এখানেই, ছোট শিশুদের খাবার তৈরিতে কেন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে কাজে লাগানো হচ্ছে, স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন অবিলম্বে এই সেরিনা খাতুনকে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আগামীদিনে আরও বড় কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, স্থানীয়রা খিচুড়ির মধ্যে বিছে পড়া থালা নিয়ে সোজা রওনা দেন হাবরা দু নম্বর বিডিও অফিসে। সেখানে বিডিওকে লিখিত ভাবে গোটা ঘটনা জানিয়ে, অঙ্গনওয়ারি কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা।
Rudra Narayan Roy






