২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির আরামবাগে পদ্মশিবির ক্রমেই তাদের জমি শক্ত করেছে। বেশ কিছুটা দুর্বল হয়েছে শাসক শিবির। লোকসভা ভোট যখন আসন্ন, তখন সেই আরামবাগেই সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের কালীপুরে মমতার ওই সভা হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে। সেই কালীপুরেই আজ সভা করবেন মোদি।
advertisement
গত লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভা আসনে জিতেছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে গত পাঁচ বছরে হারের ক্ষত সারিয়ে সেখানে তৃণমূল ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে। অন্তত বিধানসভা ভোট এবং তার পরবর্তী ভোটের ফলাফল সে কথাই বলছে। ঠিক বিপরীত ঘটনা ঘটেছে পাশের আরামবাগ লোকসভা আসনে৷ আরামবাগ লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে একটি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। বাকি ছ’টি হুগলি জেলার অন্তর্গত। গত বিধানসভা ভোটের ফলাফল বলছে, মোট সাতটির মধ্যে আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া এবং গোঘাট, এই চারটি বিধানসভায় জিতেছিল বিজেপি। বাকি তিনটি হরিপাল, তারকেশ্বর এবং চন্দ্রকোণায় জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বিধাসনভা ভিত্তিক লোকসভার ফলাফল অনুযায়ী বিজেপি প্রায় ৬০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে। ফলত আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হুগলির এই এলাকায় তৃণমূল কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সেটা নির্বাচনী লড়াইয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
শুক্রবার আরামবাগে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিগত ভোটের ফল নজরে রাখলে দেখা যাবে, অপরূপা পোদ্দার এখানে মাত্র ১১৪২ ভোটে জিতেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, গোটা রাজ্যে সর্বনিম্ন ব্যবধানে জয় এই আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র। এমনকী আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের ইতিহাসেও তাই। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পান ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৯টি ভোট (৪৪.১৫%)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী তপন রায়ের প্রাপ্ত ভোট ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৮৭ (৪৪.০৮%)। এই অঙ্ক থেকেই এবার টার্গেট করা হয়েছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রকে।