TRENDING:

'বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা'! বিখ্যাত পেয়ারা এবার পাড়ি দিল বিদেশে, জানুন কোন দেশে

Last Updated:

'বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা'! এমনটাই হেঁকে হেঁকে ট্রেনে-বাসে পেয়ারা বিক্রি করেন হকাররা। পেয়ারার বাণিজ্যিক বা অর্থকরী গুরুত্ব অপরিসীম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বারুইপুর, সুমন সাহা: ‘বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা’! এমনটাই হেঁকে হেঁকে ট্রেনে-বাসে পেয়ারা বিক্রি করেন হকাররা। পেয়ারার বাণিজ্যিক বা অর্থকরী গুরুত্ব অপরিসীম। মর্যাদার কদর করতে বারুইপুরের পেয়ারাকে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই-এর স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবার পশ্চিমবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে নজর কাড়ল বারুইপুরের পেয়ারা।
advertisement

এই প্রথম ভৌগোলিক সূচক (জিআই) ট্যাগপ্রাপ্ত বারুইপুরের পেয়ারা বিদেশে রফতানি হয়ে পৌঁছল সিঙ্গাপুরে। কৃষিপণ্যের এই সাফল্যকে বিশেষজ্ঞরা বাংলার কৃষি অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন বলে মনে করছেন। সূত্রের খবর, প্রায় ৫০০ কেজি উৎকৃষ্ট মানের বারুইপুরের পেয়ারা সিঙ্গাপুরের একটি শীর্ষস্থানীয় খুচরো বিক্রেতার কাছে পাঠানো হয়েছে। এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় কৃষকদের সংগঠন অটোবটস ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি (এফপিসি) এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আপেডা)-র যৌথ উদ্যোগ।

advertisement

আরও পড়ুন: নিশ্চয়যানে লাগাতার হনুমানের তাণ্ডব! লোকসানের পর লোকসান, মহা সমস্যায় জরুরি পরিষেবার গাড়ি চালক-মালিকরা

View More

অটোবটস এফপিসি-র চেয়ারম্যান আই নস্কর জানিয়েছেন, ‘কয়েক মাস ধরে স্থানীয় কৃষকদের আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পেয়ারার গুণগত মান, আকার ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমি নিজেও তদারকি করেছি।’ অন্যদিকে, আপেডা-র আঞ্চলিক প্রধান এস কে মণ্ডল রফতানি প্রক্রিয়ায় সরকারি অনুমোদন, মান নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। রফতানির আগে সমস্ত পেয়ারা উৎকৃষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্ভিদ কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেশন (পিকিউসি) পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই সিঙ্গাপুরে পাঠান হয়েছে এই ফল। এই পদক্ষেপকে ভবিষ্যতের রোজগারের দিশা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে মালদহের আম, মুর্শিদাবাদের লিচু কিংবা দক্ষিণবঙ্গের ড্রাগন ফলও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারে। আই নস্কর বলেন, ‘সঠিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি এবং সরকারি সহায়তা পেলে আমাদের কৃষকরা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবেন।’ আপেডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলার কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে এবং এমন পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দেবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
'বারুইপুরের পেয়ারা, খেলেই হবে চেহারা'! বিখ্যাত পেয়ারা এবার পাড়ি দিল বিদেশে, জানুন কোন দেশে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল