বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। যার ফলে আগের তুলনায় তারাপীঠে পর্যটকদের আনাগোনা কয়েকগুণ বেড়েছে। বিশেষ তিথিগুলিতে লজ, হোটেলগুলিতে ঘর ভাড়া পাওয়া সমস্যা হয়ে পড়ছে পর্যটকদের কাছে। বর্তমানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস, থার্মোকলের পাতা, বাটির ব্যবহার। অভিযোগ, তা যত্রতত্র ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকরা। চুপিসারে বীরভূমের দ্বারকা নদেও তা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন দ্বারকা নদে এই সমস্ত নোংরা আবর্জনা ফেলার ফলে দ্বারকা নদের ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিষ’ ঢুকেছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে! সমস্যায় পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষেরা, কি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
ফলত, দূষিত হচ্ছে তীর্থক্ষেত্রের পরিবেশ। প্রশাসন এর আগে বেশ কয়েকবার তারাপীঠে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। এবিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি অভিযান বন্ধ থাকার সুযোগে তীর্থক্ষেত্রে দেদার প্লাস্টিক আর থার্মোকলের ব্যবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যদিকে মা তারাকে দেওয়ার জন্য অনেকেই শাড়ি অথবা পুজোর জন্য গামছা কিনছেন। সেই সমস্ত কাপড়ের দোকানেও বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। সে ব্যাগগুলি যত্রতত্ত্ব পড়ে থেকে বাড়ছে দূষণ। এলাকার পাশাপাশি দ্বারকা নদেও দূষিত হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় তারাপীঠকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে পরিবেশ বিষয়ক একটি সংস্থাকে যুক্ত করেছে টিআরডিএ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যারা দিঘাতেও কাজ করেছে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটেলগুলিতে প্রতিদিন কত পরিমাণে বর্জ্য জমা হচ্ছে? হোটেলকর্মীদের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা কতখানি? সকলকে এইসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কেও প্রচার করবেন ওই সংস্থার কর্মীরা। এখন দেখার বিষয় কতটা সজাগ হচ্ছেন পর্যটক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
সৌভিক রায়