Parthenium in Santiniketan: 'বিষ' ঢুকেছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে! সমস্যায় পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষেরা, কি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন

Last Updated:

Birbhum News: কবিগুরুর সাধের শান্তিনিকেতনে ছড়িয়ে পড়ছে 'বিষ'। সমস্যায় সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকরা। ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।

+
শান্তিনিকেতনের

শান্তিনিকেতনের কোপাই নদী

বীরভূম: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর শান্তিনিকেতন। আর এই বোলপুর শান্তিনিকেতনেই যেন এক টুকরো বিষাক্ত সবুজের জন্ম শুরু হয়েছে। বোলপুর শান্তিনিকেতন শহরের রাস্তাঘাটের দু’পাশ ধীরে ধীরে দখল করে নিচ্ছে সবুজে আচ্ছন্ন একটি গাছ। যার নাম পার্থেনিয়াম। বিষাক্ত সেই গাছের জঙ্গল রাস্তা ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। পার্থেনিয়ামের বিষাক্ত রেণু হাওয়ায় মিশে যাওয়ায় শহরের মানুষের শরীরে রোগের বাসা বাঁধছে। যার কারণে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট ও চর্মরোগের মত অসুখ। বর্ষার আগেই পার্থেনিয়াম ধ্বংস করে দিতে পারলে তার রেণু ছড়ানো ঠেকানো সম্ভব জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
তবে এবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে এই পার্থেনিয়াম আসলে কী! এই পার্থেনিয়াম একটি এক বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। যার পাতলা সবুজ পাতা। এক-একটি গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত হয় লম্বা। এতে খুবই ছোট ছোট সাদা ফুল ধরে। একটি উদ্ভিদ মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস বাঁচে। তবে, এটি খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।কারণ এই গাছের বীজ খুব হালকা। অতি সহজেই বাতাসে বাহিত হতে পারে।
advertisement
advertisement
এই গাছ পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই গুল্ম জাতীয় গাছ নির্মূল করতে উদ্যোগ নেই পুর প্রশাসনের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের শহর বীরভূমের বোলপুর-শান্তিনিকেতনের রাস্তায় অথবা কোপাই নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গজিয়ে উঠেছে পার্থেনিয়াম। ধরেছে ফুলও। এই পার্থেনিয়াম শুধু মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, গবাদিপশুর জন্যও প্রচণ্ড বিষাক্ত। বোলপুরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, “রোজ সকালে মর্নিং ওয়ার্কে বেরোলেই চোখ চুলকায়, শ্বাস-প্রশ্বাসেও ইদানিং সমস্যা হচ্ছে। এতদিনে বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি, কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা মেলেনি, তবে এবার জানতে পারলাম এই গাছের জন্যই এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা নিজেরাও জানতাম না এই গাছ এতটা ক্ষতিকারক।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এটা তো গেল পার্থেনিয়াম গাছের কথা। এবার প্রশ্ন এই গাছের উৎপত্তি কোথায় থেকে। প্রথমে ভারতে এই উদ্ভিদ ছিল না। এটি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মেক্সিকোর উদ্ভিদ। জানা গিয়েছে, আমেরিকা থেকে খাদ্যশস্য আমদানির সময় ১৯৪৫ সালে পার্থেনিয়ামের বীজ ভারতে আসে। বিশেষ করে গম আমদানির সময় চলে এসেছিল পার্থেনিয়ামের বীজ, এমনটাই জানা যায়৷ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আনাচে-কানাচেও পার্থেনিয়াম গজিয়ে উঠতে দেখা যায় ৷ এই গাছ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হবেন সাধারণ মানুষজন।
advertisement
সৌভিক রায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Parthenium in Santiniketan: 'বিষ' ঢুকেছে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে! সমস্যায় পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষেরা, কি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
Next Article
advertisement
Bidhannagar Rail Station: এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
এক মৃত্যু দেখতে গিয়ে আর এক মৃত্যু! কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বিধাননগর স্টেশনে জোড়া দুর্ঘটনা
  • বিধাননগর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷

  • ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর৷

  • কী হয়েছে দেখতে গিয়ে মৃত আরও ১৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement