একদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করা হচ্ছে পেটাই পরোটা। চলছে ডাল, সবজি রান্নার কাজ। শতাধিক মানুষ হাত লাগিয়েছেন পেটাই পরোটা তৈরিতে। আসলে প্রায় সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সবং ব্লকের চাউলকুড়ি অঞ্চলের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হয় পরোটা উৎসব। সন্ধ্যায় পাত পেড়ে বসে এই পেটাই পরোটা খান বেশ কয়েক হাজার মানুষ। এই পেটাই পরোটা উৎসবে যোগ দেন সবংয়ের পার্শ্ববর্তী ব্লক পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়, পিংলা-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
advertisement
এতদিন পিঠে পুলি উৎসব বা অন্যান্য উৎসবের অনেক কথা শুনেছেন। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন পরোটা উৎসবের কথা? সম্ভবত রাজ্যের প্রথম এই পরোটা উৎসব চলছে সবংয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের ৬ নং চাউলকুঁড়ি অঞ্চলের নেধুয়াতে উত্তরপল্লী হরিমন্দির উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীবৃন্দের উদ্যোগে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে এই পেটাই পরোটা উৎসব।
এই মন্দির প্রায় ২৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো মন্দির। মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে ও গ্রামে গ্রামে হরিনাম সংকীর্তন প্রচার করতে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতি বছর ভীম একাদশীতে এই হরিমন্দিরের পুজো হয়ে আসছে। জানা গিয়েছে, এই পুজো যেহেতু একাদশীতে হয়, তাই এলাকার মানুষ অন্নপ্রসাদ খান না। তাই গ্রামের মানুষ এই পেটাই পরোটা উৎসবের রীতি চালু করেন বেশ কয়েক বছর আগে। সেদিন থেকেই এর নাম, পেটাই পরোটা উৎসব।
উৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি বছর প্রায় ৮ থেকে ১০ কুইন্টাল ময়দার পেটাই পরোটা তৈরি করা হয়। সেই পরোটা ওই এলাকার প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ গ্রহণ করেন। মূলত গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে এই রীতিটিকে চালু রেখেছেন।
রঞ্জন চন্দ





