অতিরিক্ত নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ায় বেশ কিছুদিন আগে সুতির সাজুর মোড়ে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় বাসুদেবপুর চাচন্ডের বাসিন্দা শিশুনাথ দাসকে। ৩৪৩নং জাতীয় সড়কের সাজুর মোড়ের পাশেই দোতলা একটি ভাড়া বাড়ি নিয়ে এই নেশামুক্তি কেন্দ্র তৈরি করেছিল এলাকার মাসুদ আলম নামের এক যুবক। ১৮ জন যুবক ভর্তি রয়েছে ওই কেন্দ্রে।
advertisement
সাধারণত নেশা আসক্ত হলে টাকার বিনিময়ে এই কেন্দ্রে রেখে যায় পরিবারের লোকেরা। সোমবার রাতে শিশুনাথ দাসের অসুস্থতার খবর পাওয়া মাত্র মহিষাইল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে আসে পরিবারের লোকেরা। কিন্তু এসে দেখে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুনাথ। তারপরে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলে অভিযোগ শিশুনাথের পরিবারের। মৃতের আত্মীয় বাবলু দাস বলেন, "খবর পাওয়া মাত্র আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি। কিন্তু ততক্ষণে শিশুনাথের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে"।
আরও পড়ুন ICDS center food quality: শিশুরা সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে তো? খাবার চেখে দেখলেন জেলাশাসক সহ আধিকারিকরা
চিকিৎসকদের থেকে জানা যায় মৃত অবস্থাতেই ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। "ওর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা ওকে সুস্থ করার জন্য এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওকে মারধর করে খুন করেছে। ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের ভিতরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হতনা। আমরা এর বিচার চাই"। এই নেশামুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগী অমিত দাস বলেন, "আমাদের এখানে খুব মারধর করা হয়। আমাদের ভালো মত চিকিৎসা করা হয় না"। যদিও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কোন বৈধ কাগজপত্র পুলিশ পাইনি। তবে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক মাসুদ আলম বলেন, ওই রোগী অসুস্থ হওয়ায় আমরা তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু রাস্তাতেই ওর মৃত্যু হয়েছে। এখানে চিকিৎসাধীন প্রত্যেকটা রোগীর চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।