বর্তমানে বীরভূমের অন্যতম জনপ্রিয় জায়গায় এই বোলপুর শান্তিনিকেতন। একদিকে যেমন রয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত জায়গা, বিভিন্ন মিউজিয়াম আর এর পাশাপাশি রয়েছে সোনাঝুরির হাট। বর্তমানে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত জায়গা দর্শনের পাশাপাশি সোনাঝুরির হাট ভ্রমণ করে বাড়ি ফিরে যান।
আরও পড়ুনTerracotta : ঐতিহাসিক নিদর্শন, টেরাকোটার নিদর্শনে ভরপুর দাসপুরের প্রাচীন মন্দিরগুলি, দেখলেই মন ভরবে
advertisement
কিন্তু অনেকেই জানেন না এই বোলপুর শান্তিনিকেতন রয়েছে এমন একটি বাড়ি যে বাড়ি সম্পূর্ণ গাছ গাছালি দ্বারা আবৃত। সিমেন্ট, বালি, পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই বাড়িটি তবুও এই বাড়িটি দেখতে গেলে আপনাকে গাছগাছালির মধ্য দিয়ে আপনার হাতের ফোনটি ব্যবহার করতে হবে! তবে এবার আপনার এটি মনে হতে পারে ফোনটি কেন ব্যবহার করতে হবে? ছবি তোলার জন্য এবং অনেকটা ভেতরের ছবি দেখার জন্য। কারণ এই ফুলবাড়ীর ভেতরে কোনও পর্যটকের প্রবেশের ছাড় নেই। বাইরে থেকে আপনাকে এই বাড়ীর আনন্দ উপভোগ করতে হবে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকোরেশন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল পছন্দ করেন সাধারণ মানুষজন। কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি বোম্বেতে বীরভূমের ফুলের চাহিদা রয়েছে একদম তুঙ্গে।
তবে বীরভূমের এই বাড়ি যেন বিভিন্ন ধরনের ফুলের মাঝে একটি বাড়ি। ফুলে-ফলে ভরে উঠেছে বীরভূমের কবিগুরুর শান্তিনিকেতনের দক্ষিণ হাওয়া বাংলো। আর কী নেই সেই বাগানে! রয়েছে শতাধিক প্রজাতির চন্দ্রমল্লিকা, ৩০-৪০ প্রজাতির কাগজ ফুল। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় কয়েকশো। বোলপুর শান্তিনিকেতনের এখন অন্যতম আকর্ষণ এই দক্ষিণ হাওয়া। এটি শুধুমাত্র একটি বাংলো বাড়ি নয় বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। দক্ষিণ হাওয়া তার বিভিন্ন ধরনের ফুল,ফল এবং গাছের সমাহারে পর্যটকদের মনমুগ্ধ করে। দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে ছুটে আসেন যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার অনুভব উপলব্ধি করতে। গাছগুলির মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়, নানান ধরনের রঙিন ফুল। শীতের আবহাওয়ায় শান্তির অনুভূতি এবং বৃষ্টির দিনে এক বিশেষ আমেজ।
সৌভিক রায়





