বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের এক কিলোমিটারের মধ্যেই এই জলাভূমি। পূর্ব দিকে আনন্দপল্লি, পশ্চিমে শ্রীপল্লি, ডানদিকে জি টি রোড। এই জি টি রোডের পাশেই বিশাল শশাঙ্ক জলা। শত বিঘেরও বেশি তার আয়তন। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বর্ধমান শহরের শেষ প্রান্তে গোলাপবাগের পাশে রয়েছে কৃষ্ণসায়র পার্ক। আর কোথাও এর মতো বিনোদন পার্ক নেই। তাই শশাঙ্ক জলাকে সংস্কার করে তার সৌন্দর্যায়নে উদ্যোগী হতে পারে বর্ধমান পুরসভা বা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা। তাহলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন রক্ষা হবে, তেমনই তৈরি হবে স্থায়ী সম্পদ। এলাকার আর্থসামাজিক পরিকাঠামোও বদলে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- এই প্রথম! দেশের শীর্ষ বিজ্ঞান সংস্থার প্রধান পদে মহিলা, জয় জয়কার নল্লাথাম্বির
অভিযোগ, এই জলাভূমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকায় দিন দিন তা জবরদখলকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। আয়তনে ছোট হচ্ছে এই শশাঙ্ক জলা। পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন। তাছাড়া জায়গার মালিকানা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। তবুও কীভাবে সেই জলাভূমি সংস্কার করা যায় তা ভেবে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- দেশের আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য জাদুঘর বানানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী মোদি
বাসিন্দাদের বক্তব্য, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গাতেও সরকার চাইলেই জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে। ১০০ দিনের কাজে ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর সংস্কারের মত এই জলাশয় সংস্কারের বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে প্রশাসন। এই জলাভূমি যাতে কোনওভাবেই কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা।