এ মুড়ি গ্রামের সবার মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই মতোই মুড়ি খাওয়া হল একসঙ্গে। তার মধ্য দিয়ে পালিত হল মুড়িতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ। একুশের সভায় তৃণমূল কর্মীদের কাছ থেকে মুড়ি চেয়ে মুড়িতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আহত ভবঘুরের আধারকার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে, হাসপাতালে ভর্তি করলেন বিডিও!
advertisement
এবার মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়া মুড়ি গ্রামে নিয়ে এসে গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিলি করে ও গ্রামবাসীদের মুড়ি খাইয়ে তাতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ করল আউসগ্রামের তেলতা গ্রামের তৃনমূল কর্মীরা।
আউশগ্রামের তেলতা গ্রামের যুবকদের নিয়ে যাওয়া মুড়ি দেখিয়েই মুড়িতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা। তাই মমতার ছোঁয়া সেই মুড়ি গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিলি করলেন আউশগ্রামের যুবকরা।
আরও পড়ুন: কান্দি বিমল চন্দ্র কলেজ মোড় এলাকায় অগ্নিকাণ্ড, এলাকায় চাঞ্চল্য
২১-এর ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে মুড়িতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ করার সময় মঞ্চ থেকেই মমতা কর্মী সর্মথকদের জিজ্ঞাসা করেন কেউ মুড়ি এনেছেন? দর্শকদের মধ্যে বসেছিলেন আউশগ্রামের তেলতা গ্রাম থেকে যাওয়া দেবাশিস, নিরঞ্জন-সহ পঁচিশ জন যুবক। খাবার জন্য বস্তায় করে নিয়ে যাওয়া মুড়ি মমতার হাতে তুলে দেন তাঁরা। মঞ্চ থেকেই মমতা সেই মুড়ি দেখিয়ে মুড়িতে জিএসটি বসানোর প্রতিবাদ করেন। পরবর্তী সময়ে মুড়ি ফেরত পেয়ে তাঁরা আর সেই মুড়ি খাননি। যেহেতু দলনেত্রী মমতার ছোঁয়া মুড়িতে লেগেছে। তাই নিজেদের সঙ্গে করে সেই মুড়ি তাঁরা কলকাতা থেকে গ্রামে নিয়ে এসেছিলেন। গ্রামের মানুষদের কাছে সেই ছোঁয়া পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে।
তাঁদের কথায়, ''২০২২-এর ২১ জুলাই ভুলতে পারব না। জনজোয়ারে ভেসে দূর থেকে দলনেত্রীকে দেখব, তাঁর বক্তব্য শুনব এই আশাতেই মুড়ি বেঁধে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেই মুড়ি যে দিদির হাতের ছোঁয়া পাবে ভাবতে পারিনি। তাই গ্রামের সবাই মিলে এখন সেই মুড়ি খাওয়া হচ্ছে।''
Saradindu Ghosh