প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে বাদাম চাষকে বেছে নিতে শুরু করেছেন হুগলির আরামবাগের চাষিরা। আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখন চিনা বাদামের চাষ হচ্ছে। চৈত্র মাস থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত এই চাষ হয়। গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ, পুড়শুরা, খানাকুল এলাকা বন্যা কবলিত বলে পরিচিত। বন্যার কারণে জমিতে চাষ করলেও ফসল অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেই ক্ষতি থেকে রেহাই পেতে এবার বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। বিঘার পর বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়ে ব্যাপক লাভের মুখ দেখছে তাঁরা। চাষিরা জানান, গোঘাটের বালি দেওয়ানগঞ্জ সহ খানাকুল, পুড়শুরা এলাকা অনেকটাই নিচু। বন্যার সময় কিছু এলাকা অনেকটাই জলে ডুবে থাকে। যার ফলে আলু চাষের পরে ধান চাষ ও তিল চাষ সে পরিমাণে হয় না। পাশাপাশি বালি দেওয়ানগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকা বালি মাটি। এই বালি মাটিতে বাদাম চাষ ভাল হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির ভোজ রইল পড়ে, মারামারি করে হাসপাতালে কনে ও পাত্রপক্ষের লোকেরা!
গত কয়েক বছর ধরে আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চিনা বাদামের চাষ শুরু হয়েছে। তাই আলু চাষের পরে অন্য ফসল চাষের পরিবর্তে বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখাছেন চাষিরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, আসতে আসতে বাদামের চাহিদা বাড়ছে বাজারে। কম খরচে বেশি লাভ পাচ্ছেন। বাদাম থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি হয়। মূলত বৃষ্টির জলের সমস্যার কারণে এখন বাদাম চাষের উপর নির্ভর করছে চাষিরা । তিন মাস পর বাদাম চাষের ফল পাওয়া যায়। বাদাম একদিকে বাড়িতে খাবার কাজে লাগে এবং বাজারে বিক্রি করাও হয়।
রাহী হালদার