অভিযোগ, পরিবেশবান্ধব আতশবাজির লাইসেন্সেসেই ধোলাহাটের রায়পুরে তৈরি হত নিষিদ্ধ শব্দবাজি৷ গত মঙ্গলবার কারখানা এবং গোডাউনে যে পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়েছে বা বাজির মশলা পাওয়া গিয়েছে এখানে কোথাও পরিবেশ বান্ধব বাজির দেখা মেলেনি বলে সূত্রের খবর। সেখানে দেখা গিয়েছে সেল, গোলা বাজি, জল বোম সহ একাধিক নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
advertisement
২০২২ সালের পর থেকে পরিবেশ আদালত যে সার্টিফিকেট দিয়েছিল সবুজ বাজি তৈরি করার জন্য তাদেরকে, সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কোনও শব্দবাজি তৈরি করা যাবে না৷ তারপরেও কী করে এত শব্দবাজি পাওয়া গেল বা বাড়িতে মজুত ছিল? প্রশ্ন সেখানেই৷ সবুজ বাজির নাম করেই যে এই বেআইনি কারবার চলত এই বিষয়টা ইতিমধ্যে সামনে আসছে।
পাথরপ্রতিমা ঢোলালাহাটে গত মঙ্গলবারই ফরেন্সিক আধিকারিক নমুনা সংগ্রহ করেছে৷ নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা দেখে ঘরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বাজি এবং বাজির মশলা মজুত ছিল৷ পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরির মশলা পাওয়া যায়নি বিস্ফোরণের স্পট থেকে৷ পাশাপাশি, যে গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়েছিল সেই গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এদিন৷ বাজির মশলা এবং গ্যাস সিলিন্ডার থেকে পাওয়া নমুনা তাঁরা খতিয়ে দেখছেন যে, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নাকি বাজির মশলা থেকে আগুন লেগেছে।
গ্রামবাসীদের একাংশের অনুমান, ওই বাড়িতে বাজি প্যাকেটে ভরার সময়েই কোনও ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। এক দিন পরেই বাসন্তীপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, বাসন্তীপুজোর সময়ে বিক্রির জন্য বাজি মজুত করা হচ্ছিল।
গত সোমবার বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে বণিক পরিবারের চার শিশু সহ চার সদস্যের মৃত্যু হয়েছে৷ চার শিশুর মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ১ বছরেরও কম৷ বিস্ফোরণের সময় বাড়ির বড়ছেলে চন্দ্রকান্ত, ভাই তুষার এবং মা বাড়িতে না থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান৷