গত সোমবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার বণিক পরিবারের আট সদস্যের। তাঁদের মধ্যে ছিল দু’জন সদ্যোজাত-সহ চার শিশুও। বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় পরিবারের ১১ জন সদস্যের মধ্যে তিন জন বাড়িতে ছিলেন না। ওই তিন জন বাদে পরিবারের সকলেরই মৃত্যু হয়। ঘটনায় পরিবারের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
advertisement
এবার ঢোলাহাট বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ সূত্রের খবর, অবৈধভাবেই চলছিল ওই বাজি কারখানা। ২০২৩ সালে বাজি কারখানার জন্য লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কেস থাকায় দেওয়া হয়নি অনুমতি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লাইসেন্স রিজেক্ট করে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের তরফে। তারপরও কারখানা বন্ধ হয়নি৷ অবৈধ ভাবেই জারি ছিল কাজ কারবার৷
বুধবার এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ছে নবান্নে। মঙ্গলবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয় নবান্নের তরফে।
সোমবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে পুলিশও! বাজি ব্যবসায়ী পরিবারের দুই সদস্য চন্দ্রকান্ত বণিক এবং তাঁর ভাই তুষারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ঢোলাহাট থানা। ঘরে বিপজ্জনক বস্তু মজুত রাখা, অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা-সহ মোট ছ’টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দমকল আইনেও মামলা রুজু হয়েছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। দুর্ঘটনার সময়ে চন্দ্রকান্ত, তুষার এবং তাঁদের মা বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই ভাই বর্তমানে গ্রামেই রয়েছেন।