মুকন্দরামের কবিকঙ্কণে উঠে এসেছে পট জীবিকার কথা। আবার বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষসে রয়েছে যমপটের কথা। বাণভট্টের হর্ষচরিতেও রয়েছে যমপট ব্যবসায়ীর কথা। এর থেকে বোঝা যায় এই শিল্পের প্রচীনতা এবং বিশালতা।
advertisement
প্রাচীন শিল্প চেতনাকে বজায় রেখে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ ব্লকের নয়াডিহি এবং ছাতনার শুশুনিয়ার ভরতপুর ২০২৪ সালেও এঁকে চলেছে এই পট চিত্রগুলি। বাড়ির পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই আঁকেন ছবি। প্রত্যেকের নামের পাশে রয়েছে ‘চিত্রকর’ উপাধি।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বিশ্ববরেণ্য শিল্পী যামিনী রায় গোটা পৃথিবীর কাছে চিনিয়েছিলেন পটচিত্রকে। পট শিল্পের বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য ঘরানাগুলির মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত ঘরানা হল বাঁকুড়ার পটচিত্র। তবে বর্তমান যুগে এই শিল্পকলা কিছুটা যেন অবহেলিত।
বাংলার পটচিত্রের অঙ্কনশৈলী ও বর্ণনার রীতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ঘরানা থেকে এসেছে। মূলত দুটো ঘরানার বিশেষ প্রচলিত, বেঙ্গল স্কুল ঘরানা ও সাঁওতালি অঙ্কনরীতি।
'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন বেঙ্গল স্কুলের ভাবনায় তৈরি হয়েছিল মেদিনীপুর-তমলুক-কালীঘাট-ত্রিবেণী সামাজিক ঘরানা। বীরভূম ঘরানার মধ্যে ছিল বীরভূম-কান্দি-কাটোয়া। সাঁওতালি অঙ্কনরীতির মধ্যে পড়ে আদিবাসী বা সাঁওতালি পটচিত্র। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় এই রীতির চর্চা হয়।